ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহীর বাতাসে আমের মুকুলের মৌ মৌ গন্ধ

প্রকাশিত: ০৪:০৭, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

রাজশাহীর বাতাসে আমের মুকুলের মৌ মৌ গন্ধ

মামুন-অর-রশিদ, রাজশাহী ॥ আমের রাজ্য হিসেবে খ্যাত রাজশাহীতে এখন গাছে গাছে দৃশ্যমান সোনালি মুকুলের আভা। মুকুলের ভারে নুয়ে পড়ার উপক্রম প্রতিটি গাছ। মৌমাছিরাও আসতে শুরু করেছে মধু আহরণে। মৌসুমের শুরুতেই পর্যাপ্ত মুকুলের সমারোহে আনন্দে নাচতে শুরু করেছে কৃষকের প্রাণ। সোনালি স্বপ্নে বিভোর এখন রাজশাহী অঞ্চলের আমচাষী আর বাগান মালিকরা। মৌসুমের এই সময়ে যে কেউ রাজশাহীতে পা রাখলে প্রথমে অনুভূত হবে বাতাসে কড়া মিষ্টি গন্ধ। পাগল করা এ সুবাস গাছে গাছে বিকশিত আমের মুকুলের। শহর ছেড়ে গ্রামের পথে পা বাড়ালেই মুকুলের হাতছানিতে বিমোহিত হবেন যে কেউ। রাজ্যের সব মুকুল প্রস্ফুটিত হয়েছে রাজশাহী অঞ্চলের আমের বাগানজুড়ে। বলা হয় আমের দেশ রাজশাহী। দেশজুড়ে রয়েছে এখানকার আমের সুখ্যাতি। রাজশাহী অঞ্চলের সারি সারি আমবাগানে এখন কেবল মুকুলের সমারোহ। অগ্নিঝরা ফাগুনের এই সময়ে গাছে গাছে মুকুলের রং মিশে হলুদ আর সবুজের মহামিলন। মুকুলে ভরে গেছে প্রতিটি গাছ। সুবাসিত গন্ধে মাতোয়ারা চারিদিক। রাজশাহী অঞ্চলের শতভাগ গাছেই কম-বেশি মুকুল এসেছে এবার। ইতোমধ্যে আগাম জাতের কিছু গাছে আমের সবুজ গুটিও দেখা যাচ্ছে। এ বছর আবহাওয়াও অনুকূলে। তাই বড় কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আমের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছে রাজশাহী কৃষি বিভাগ। আর কৃষকরা বলছে গাছে গাছে মুকুলের সমারোহ দেখে মনে হচ্ছে, এবারও আমের বাম্পার ফলন হবে এ অঞ্চলে। রাজশাহী জেলা ও আঞ্চলিক কৃষি অফিস জানায়, আমের জন্য এবার অনুকূল আবহাওয়া বিরাজ করছে। গত বছরের চেয়ে এবার আমের উৎপাদন আরও ভাল হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন কৃষি সংশ্লিষ্টরা। কৃষি অফিস জানায়, বৃহত্তর রাজশাহী অঞ্চলে ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে আমের বাগান রয়েছে, যা থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হতে পারে প্রায় সোয়া পাঁচ লাখ টন আম। তবে এখনও লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়নি। মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়ার অনুকূলগত কারণে গাছে গাছে পর্যাপ্ত মুকুল এসেছে। এবার ছোট-বড় ও মাঝারি সব ধরনের গাছে মুকুল এসেছে। কৃষি বিভাগের মতে, এ অঞ্চলে ২৫০ জাতের আম উৎপন্ন হয়। রাজশাহী অঞ্চলে গাছে গাছে বাহারি জাতের আম এখন দেশের মানুষের রসনা মেটাতে প্রস্তুত হচ্ছে। সব মিলিয়ে আমচাষীদের মনে এখনই উঁকি দিচ্ছে আগাম সোনালি স্বপ্ন। সাংবাদিকদের সাহসী হতে হবে ॥ খুলনায় ইকবাল সোবহান স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ খুলনা প্রেসক্লাবের বার্ষিক সাধারণ সভা সোমবার ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী। প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক শেখ আবু হাসানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, সংসদ সদস্য মুহাম্মদ মিজানুর রহমান ও খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আনিছুর রহমান বিশ্বাস। বক্তব্য রাখেন- প্রবীণ সাংবাদিক মনিরুল হুদা, ওয়াদুদুর রহমান পান্না, খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মকবুল হোসেন মিন্টু, এসএম জাহিদ হোসেনসহ সদস্যগণ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, বর্তমানে প্রযুক্তির ব্যাপক প্রসারের ফলে গণমাধ্যমের বহুমুখিতা সাংবাদিকতায় নতুন ধারার সূচনা করেছে। তাই তথ্য অনুসন্ধানে সাংবাদিকদের বস্তুনিষ্ঠ, সাহসী ও আন্তরিক হতে হবে। বিশেষ অতিথি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত পদ্মা সেতুর কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। রেললাইন এবং মংলা পোর্টের আধুনিকায়নের কাজও চলমান। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে চলমান উন্নয়নের এ অগ্রযাত্রায় সাংবাদিকদেরও লেখনির মাধ্যমে ভূমিকা রাখার জন্য তিনি আহ্বান জানান।
×