নিজস্ব সংবাদদাতা, সাভার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ॥ এবার রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের ধামরাই শাখায় দুর্ধর্ষ ডাকাতির চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতির চেষ্টাকালে র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে এক ডাকাত সর্দার মাসুদ। এ সময় আগ্নেয়াস্ত্রসহ ৬ জনকে আটক করে র্যাব।
আটক করা হয়েছে দুই নারী, এক শিশুসহ ছয়জনকে। এরা হলো সবুজ (৫৮), শিলা (১৮), রুমানা (২৫), রিয়াজ উদ্দিন (৪৫) ও বাদশা মিয়া (৩৫)। এরা সবাই ৩ মাস আগে ব্যাংকের উপরের ফ্লোরে নিজেদের পোশাক কারখানার শ্রমিক পরিচয়ে ভাড়া নেয়। এদের সঙ্গে রুমানার ৮ বছরের শিশুপুত্র শাকিলওন রয়েছে। র্যাব বলেছে, এরা সংঘবদ্ধ দলের সদস্য।
শুক্রবার ভোর রাতে ধামরাই বাজারের সোনালী ব্যাংক শাখায় ডাকাতির চেষ্টাকালে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ধামরাই বাজারে চার তলার একটি বাণিজ্যিক ভবনের দোতলায় অবস্থিত সোনালী ব্যাংক। ব্যাংকের উপরিস্থ ওই ভবনের ছাদ কেটে ব্যাংকের ভেতরে ঢোকে ডাকাত দল। পরে তারা ব্যাংকের ভল্ট ভেঙ্গে টাকা লুট করার চেষ্টা চালায়।
এ সময় খবর পেয়ে র্যাব-৪ এর সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে ভবনটি ঘিরে ফেলে ও চারপাশে অবস্থান নেয়। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা ব্যাংকের ভিতর থেকে বের হওয়ার চেষ্টা চালায় এবং র্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। র্যাবও পাল্টা গুলি ছুড়লে মাসুদ নামে ওই ডাকাত নিহত হয়। পরে আটক করা হয় ৫ জনকে।
র্যাব-৪ জানায়, তিন মাসে আগে ডাকাতরা ধামরাই সোনালী ব্যাংকের ওই শাখার উপরের তিন তলার ফ্লোরে নিজেদের পোশাক কারখানার শ্রমিক পরিচয় দিয়ে বাসা ভাড়া নেয়। এরপর তারা পূর্ব পরিকল্পনানুযায়ী ছাদ কেটে ব্যাংকের ভেতরে ঢুকে ডাকাতির চেষ্টা চালায়। ডাকাতদের কাছ থেকে একটি বিদেশী পিস্তল, ৪ রাউন্ড গুলি ও ফ্লোর কাটার যাবতীয় সরঞ্জমা উদ্ধার করা হয়। শুক্র ও শনিবার ব্যাংকের অর্থ লুট করে সটকে পড়ার পরিকল্পনা ছিল এ ডাকাতদলের।
এ ব্যাপারে ধামরাই থানার অফিসার ইন-চার্জ শেখ মোহাম্মদ রিজাউল হক বলেন, ব্যাংকের ভেতরে সিকিউরিটি আছে। ওপরের তলায় যে ভাড়াটিয়া তাদের সম্পর্কে বাড়িওয়ালা নাম ঠিকানা কিছুই জানেন না। ইতোপূর্বে অনেকবার বলা হয়েছে, ভাড়াটিয়ার নাম-ঠিকানা থানায় জমা দেয়ার জন্য। কিন্তু, খুব কম লোকই এসব মেনে থাকেন।