স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলীকে সব মামলা পরিচালনা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালের চীফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু স্বাক্ষরিত এক আদেশে এই তথ্য জানানো হয়েছে। আদেশে বলা হয়েছে, প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলীকে আল-বদর শামসুল হক গং ও হোসেন তরফদারসহ ট্রাইব্যুনালের অন্যান্য মামলার তদন্ত কার্যক্রম থেকে প্রত্যাহার করা হলো। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত তিনি ট্রাইব্যুনালে কোন মামলা পরিচালনা করতে পারবেন না। এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী এ্যাডভোকেট আনিসুল হক জনকণ্ঠকে বলেছেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। বিষয়টি আমি দেখছি। অন্যদিকে মোহাম্মদ আলী বলেছেন, এর আগেও আমি মামলা করেছি। আমার সাথে আলোচনা করে চিঠি দিতে পারত। আমি মামলা করতে চাই না। কারণ শরীর এখন পারমিট করে না। চিঠি দেয়ার কোন প্রয়োজন ছিল না। চীফ প্রসিকিউটর ঢাকার বাইরে আছেন । উনি আসলে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাব। এদিকে প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম মোহাম্মদ আলীকে প্রত্যাহার করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
চীফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপুর স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে , এই মর্মে জানানো যাচ্ছে যে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল চীফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ের প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলীকে আলবদর শামসুল হক গং ও শামসুল হোসেন তরফদার এবং অন্যান্য মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম থেকে প্রত্যাহার করা হলো। পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন কোন মামলা পরিচালনার কাজে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেয়া হলো। এই আদেশটি জনস্বার্থে দেয়া হলো।
এ ছাড়া ২০১৪ সালে প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজের সঙ্গে মোহাম্মদ আলীর বিরোধ প্রকাশ্যে রূপ নিয়েছিল। ওই সময় তুরিন আফরোজ মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে মানসিক হয়রানির অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ভারপ্রাপ্ত চীফ প্রসিকিউটর বরাবর আবেদন জানান। প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলীও তুরিন আফরোজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আর্জি জানিয়ে আবেদন জানান। ড. তুরিন ও মোহাম্মদ আলী পরস্পরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ এনেছিলেন। প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলী এর আগে ট্রাইব্যুনালে জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর মামলার দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত প্রসিকিউটর ছিলেন।