ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেন মহাসড়ক উদ্বোধন মে মাসে

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেন মহাসড়ক উদ্বোধন মে মাসে

সংসদ রিপোর্টার ॥ বহু প্রত্যাশিত ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেন মহাসড়ক আগামী মে মাসে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন। চার লেন মহাসড়ক প্রকল্পের কাজ একদম শেষ পর্যায়ে। সোমবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ তথ্য জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভা-ারির এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। মন্ত্রী জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চার লেন প্রকল্পের ১৯২ কিলোমিটারের পুরোটাই শেষ হয়েছে। এটা গত সপ্তাহে শেষ হয়েছে। আমি নিজেই রবিবার প্লেনের টিকেট বাতিল করে রাতে বাসে এসেছি। পথে পথে প্রকৌশলীদের দ্রুত ফিনিশিং লেয়ারের কাজ শেষ করার তাগিদ দিয়েছি। তিনি জানান, এই প্রকল্পের মধ্যে ২৫৪ কালভার্ট, ১৪টি বাইপাস (৩২ কি.মি.) পথ রয়েছে। ফাস্ট লেয়ারের কাজ সম্পূর্ণ শেষ হয়েছে। এখন ফিনিশিং লেয়ারের কাজ চলছে। আশা করা যায়, মে মাসে প্রধানমন্ত্রী ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেন মহাসড়ক উদ্বোধন করবেন। সংসদ সদস্যদের কাছে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার তালিকা চাইলেন মন্ত্রী ॥ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রত্যেক সংসদ সদস্যকে নিজ নিজ এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার তালিকা দিতে বলেছেন। মন্ত্রী বলেন, সংসদের কাছ থেকে তালিকা পেলে বর্ষা মৌসুমের আগেই ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা মেরামত করা হবে। সেসব রাস্তাকে যানচলাচলের উপযোগী করা হবে। প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মোঃ নোমানের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। পরিবার প্রতি সর্বোচ্চ গাড়ির সংখ্যা বেঁধে দেয়া হবে ॥ রাজধানীতে অসহনীয় যানজট নিরসনে পরিবার প্রতি গাড়ির সর্বোচ্চ সংখ্যা বেঁধে দেয়া হবে। সড়ক পরিবহন আইন-২০১৫ এর খসড়াতে একটি পরিবার সর্বোচ্চ কতটি গাড়ি ব্যবহার করতে পারবে তা নির্ধারণ করে দেয়ার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। তবে খসড়ায় একটি পরিবার কতটি পর্যন্ত গাড়ি ব্যবহার করতে পারবে সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোন সংখ্যা এখনও উল্লেখ করা হয়নি। স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হাজী মোঃ সেলিমের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। প্রতিবেশী চার দেশে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে যাওয়া যাবে ॥ সংরক্ষিত নারী আসনে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য নূর-ই-হাসনা লিলি চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী জানান, গত বছরের ১৫ জুন ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান ও নেপালের মধ্যে পরিবহন সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। এ চুক্তির ফলে চার দেশের মধ্যে ব্যক্তিগত গাড়ি, যাত্রীবাহী যানবাহন ও পণ্য পরিবহনের জন্য পণ্যবাহী যান চলাচল করতে পারবে। ইতোমধ্যে ভারত, বাংলাদেশ ও নেপাল চুক্তিটি অনুসমর্থন করেছে। ভুটানও খুব শীগ্রই চুক্তিটি অনুসমর্থন করবে। চার দেশের অনুসমর্থনের পর চুক্তিটি বাস্তবায়ন হবে।
×