ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

শেষ টি২০তে ৭ উইকেটের জয় ধোনি-বাহিনীর

অস্ট্রেলিয়াকে হোয়াইটওয়াশ করল ভারত

প্রকাশিত: ০৬:৩৩, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

অস্ট্রেলিয়াকে হোয়াইটওয়াশ করল ভারত

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ টি২০তে অস্ট্রেলিয়াকে ৩-০তে ‘হোয়াইটওয়াশ’ করে ওয়ানডে হারের বদলা নিল ভারত। সেই সঙ্গে আসন্ন এশিয়া কাপ ও টি২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতিটাও ভালমতো সেরে নিল মহেন্দ্র সিং ধোনির দল। সিডনিতে নিয়ম রক্ষার শেষ ম্যাচে ১৯৭ রানের বড় স্কোর গড়েও অতিথিদের কাছে পাত্তা পায়নি অসিরা। ঠিক ২০ ওভারে ২০০ রান করে ৭ উইকেটের বড় জয় তুলে নেয় ভারত। ম্যাচসেরার পুরস্কার হাতে উঠলেও বিফলে যায় ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক শেন ওয়াটসনের সেঞ্চুরি (১২৪*)। প্রথমে টানা চার হারে ওয়ানডে সিরিজ খোয়ায় ভারত, ঘুরে দাঁড়ায় পঞ্চম ম্যাচে, অতঃপর টি২০তে এই ৩-০। সব মিলিয়ে সফরে ৮ ম্যাচ ৪-৪এ শেষ করল ক্রিকেটের মোড়লরা! দ্বিতীয় ম্যাচে পাওয়া চোটে ছিটকে গেছেন টি২০র নিয়মিত অধিনায়ক এ্যারন ফিঞ্চ, নিউজিল্যান্ড সফর সামনে রেখে মারকাটারি ডেভিড ওয়ার্নারকে নিয়ে দুদিন আগেই বিমানে চড়েছেন টেস্ট-ওয়ানডের সেনাপতি স্টিভেন স্মিথ। এই ম্যাচে তাই নেতৃত্বের দায়িত্ব চাপে শেন ওয়াটসনের কাঁধে। কদিন আগে যার দলে জায়গা পাওয়া নিয়েই ছিল সংশয়। কিছুটা যেন চাঙ্গা হয়ে জ্বলে উঠলেন ওয়াটসন। দায়িত্ব পেয়েই রেকর্ড গড়লেন অসি-অলরাউন্ডার। টস জিতে ব্যাটিং নিলেন এবং হাঁকালেন টি২০ ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। ১২৪ রানের ইনিংসটি আন্তর্জাতিক টি২০তে অধিনায়ক হিসেবে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। আগে যেটি ছিল ক্রিস গেইলের দখলে। অধিনায়ক হিসেবে ২০১০ সালে ব্রিজটাউনে ভারতের বিপক্ষে ৯৮ রান করেছিলেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং-দানব। ৭১ বলে ১০ চার ও ৬ ছক্কায় অপরাজিত ১২৪ রানের দুরন্ত এক ইনিংস উপহার দেন ওয়াটসন। মূলত তার সেঞ্চুরির ওপর ভর করেই ৫ উইকেটে ১৯৭ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর পায় অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬ ট্রেভিস হেডের। ওয়ার্নারের পরিবর্তে ওপেন করা উসমান খাজা ১৪ এবং শেষ দিকে ক্রিস লিনের ১৩ উল্লেখ্য। কিন্তু এত বড় স্কোর গড়েও অস্ট্রেলিয়ার লাভ হয়নি। ভারত শুরু করে নিজেদের স্টাইলে। ১ উইকেট হারিয়ে প্রথম ৬ ওভারেই ৭৪ রান তুলে নেয় সফরকারীরা। ৯ বলে ২৬ রান করে শিখর ধাওয়ান আউট হলেও ফর্মের তুঙ্গে থাকা রোহিত শর্মা আর বিরাট কোহলি অসি বোলারদের কাঁদিয়ে ছাড়েন। দু’জনই হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। রোহিত ৩৮ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৫২, কোহলি ৩৬ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় করেন ৫০ রান। প্রথম কোন ব্যাটসম্যান হিসেবে দ্বিপক্ষীয় টি২০ সিরিজে টানা তিন হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন কোহলি। ১৫তম ওভারের মধ্যে এই দু’জনকে ফিরিয়ে দিয়ে আশা জাগিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু রায়না সেই সুযোগ দেননি। ২৫ বলে ৪৯ রানের চমৎকার ইনিংস খেলে ভারতকে জয়ের বন্দরে ভেড়ান তিনি। তার শটেই জয়সূচক রান আসে। শেষ মুহূর্তে অবশ্য গত টি২০ বিশ্বকাপের ফাইনালের দুঃস্মৃতিটা ফিরিয়ে আনছিলেন রায়নার পার্টনার যুবরাজ সিং। শেষ ২ ওভারে প্রয়াজন ২২ রান, এমন অবস্থায় ওয়াটসনের এক ওভার থেকে মাত্র ৪ রান নেন যুবরাজ। ভারতের ভয় পাওয়ার কারণ ছিল যথেষ্টই। তখনই এন্ড্রু টাইয়ের দুটি ডেলিভারি থেকে ১ চার ও ১ ছক্কায় ঘুরে দাঁড়ান ভারতের ২০১১ বিশ্বজয়ের নায়ক। শেষ বলে চার হাঁকিয়ে সমাপ্তি টানেন রায়না। স্বাগতিকদের হয়ে ২ উইকেট নেন ক্যামেরন বয়েস। এই জয়ে একটা রেকর্ডই গড়ে ফেলল ধোনি-বাহিনী। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্রথম দল হিসেবে অস্ট্রেলিয়াকে হোয়াইটওয়াশ করল ভারত!
×