ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

টুটুল মাহফুজ

মনের ভাষা বুঝবে রোবট!

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ২৯ জানুয়ারি ২০১৬

মনের ভাষা বুঝবে রোবট!

বেড়েই চলেছে প্রযুক্তির উন্নয়নের যাত্রা। দৈনন্দিন জীবনে মানুষ এখন আর এক মুহূর্তও প্রযুক্তি ছাড়া চিন্তা করতে পারে না। প্রযুক্তির এই জয়যাত্রায় এবার যুক্ত হতে যাচ্ছে প্রাণহীন রোবটের নতুন কারিশমা। রোবট পড়বে মানুষের মন! বিষয়টি আজব মনে হলেও গুজব নয়। রোবট কি : রোবট মূলত একটি ইলেক্ট্রনিক্স যান্ত্রিক ব্যবস্থা। যার কাজ কর্ম বা চলাফেরা দেখলে মনে হয় নিজে থেকে করছে। আসলে এটি কম্পিউটার প্রোগ্রামের মাধ্যমে করা। রোবটের কিছু বৈশিষ্ট্য: কৃত্রিম, পরিবেশ অনুভব করার ক্ষমতা আছে, পরিবেশের বস্তু নিয়ে কাজ করতে পারে কিছুটা বুদ্ধিমত্তা আছে, যার সাহায্যে পরিবেশ বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে পারে, কম্পিউটারের মাধ্যমে প্রোগ্রামযোগ্য, ঘুরতে পারে ও স্থানান্তর করতে পারে, দক্ষভাবে সুনিয়ন্ত্রিত চলন প্রদর্শন করতে পারে, স্বেচ্ছায় কাজ করছে এ রকম আভাস দিতে পারে। সাম্প্রতিক গবেষণা: রোবট গবেষকরা মনে করছেন, মনের কথা জানতে সক্ষম রোবট। গবেষণা চলছে এ কাজে। তবে উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, রোবট যদি মন পড়ার কাজ শিখে ফেলে তখন তাকে থামানো যাবে না। কারণ রোবটের বিরুদ্ধে কোন আইন নেই। এখন গবেষণায় যদি পজেটিভ ফল আসে তবে ২০৩০ সালের মধ্যে ওই প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্মার্টফোন, ট্যাব বা ব্যক্তিগত কম্পিউটারও আমাদের মস্তিষ্ক কখন কি ভাবছে তা জানা যাবে। উদ্ভাবনী ক্ষমতা, সৃজনশীলতাসম্পন্ন এবং নিজে নিজেই চারপাশের পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারার মতো রোবট তৈরির উদ্দেশ্য নিয়েই গবেষকরা এটি করেছেন। আরও এক ধরনের রোবট বানিয়েছে গবেষকরা। গবেষকদের তৈরি এই মা রোবট আপাতত পরীক্ষামূলকভাবে কয়েকটি প্লাস্টিকের কিউব জোড়া দিয়ে ‘শিশু’ রোবট তৈরি করেছে। এর ভেতরে আছে মোটরও। এই রোবট কতটা নড়াচড়া করে তাও পর্যবেক্ষণ করেছে ‘মাদার’ রোবট। এরপর রোবটটি সে অনুযায়ী আগেরটির চেয়ে একধাপ উন্নতপ্রজন্মের রোবট তৈরি করেছে। এভাবে ধাপে ধাপে দশ প্রজন্ম পর্যন্ত নতুন রোবট তৈরি করেছে মা রোবটটি। এগুলোর প্রত্যেকটিই কর্মক্ষমতার দিক দিয়ে আগেরটিকে ছাড়িয়ে গেছে। আমরা বাস্তবে প্রাণীজগতে যেমনটি দেখি এ প্রক্রিয়ায় অনেকটা সে রকমভাবেই রোবটের বিকাশ ঘটবে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। তবে প্রাণীর সঙ্গে এর পার্থক্য হচ্ছে, একটা কিছু করতে প্রাণীর যে শক্তি প্রয়োজন হয় রোবটের দরকার হয় তার চেয়ে ১০ থেকে ১০০ গুণ বেশি শক্তির। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, নিরাপত্তার কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে এ ধরনের রোবটকে। আর একজন মানুষ ইচ্ছা করলে ব্যক্তিগত কাজে লাগাতে পারবে। এ গবেষণা সফল হলে রোবটকে তখন আর কাজের জন্য তাগিদ দিতে হবে না। রোবট নিজে থেকেই করবে তখন প্রয়োজন অনুযায়ী। রোবটের ভেতর ইইজি নামে যে প্রযুক্তি দেয়া হবে, সেটি খুব নিরাপদ। যে কেউ ইচ্ছা করলেই পারবে না হ্যাক করতে। নির্ধারিত ব্যক্তিই কেবল পারবে অপারেট করতে। এটি হবে অত্যান্ত নিরাপদ এবং বিশ্বস্ত। ওয়াল্ড ইকোনমিক ফোরামের একটি প্যানেল এ বিষয়ে বলেছে, যেহেতু রোবটকে দিয়ে এ কাজ করানো হবে তাই এখানে একজন মানুষের অতি গোপন তথ্য ফাঁস হওয়ার খুব সম্ভাবনা থেকে যাবে। সূত্র: ডেইলি মিরর
×