ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পর্যটন বছরে পর্যটক আকর্ষণ

মহাস্থানগড়ে সাজগোজ চলছে

প্রকাশিত: ০৪:১৬, ২৯ জানুয়ারি ২০১৬

মহাস্থানগড়ে সাজগোজ চলছে

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ চলতি বছরকে পর্যটন বছর হিসেবে ঘোষণা দেয়ার পরই দেশের ঐতিহাসিক স্থানগুলোকে সাজানোর কাজ শুরু হয়েছে। প্রতœসম্পদ অঞ্চল মহাস্থানগড়েও প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর প্রাচীন নিদর্শনগুলো মেরামত করছে। পর্যটন কর্পোরেশন পর্যটকদের থাকার, খাওয়ার, ভ্রমণের ও স্বাচ্ছন্দে চলাচলের পথঘাট নির্মাণ করছে। সরকারীভাবে বলা হয়েছে এ বছর দেশে পর্যটক আগমনের সংখ্যা বেড়ে যাবে। এজন্য বিদেশের বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তাদের ‘বিউটিফুল বাংলাদেশ’ স্লোগান সামনে রেখে প্রচারের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে তার সুফল পাওয়া যাচ্ছে। বুধবার মহাস্থানগড় এলাকায় গিয়ে দেখা যায় অনেক বিদেশী পর্যটক প্রতœ সম্ভারের গোবিন্দভিটা অংশ ঘুরে দেখছেন। এর পাশেই পাহাড়ের মতো উঁচু প্রত্নস্থাপনাকে সাজানো হয়েছে নতুন আঙ্গিকে। সেখানে দেশী ও বিদেশী ফুলের বাগান করা হয়েছে। প্রতœসম্পদের যে দেয়ালের ইট চুরি হয়ে গিয়েছে সেখানে ইটভাঁটির মালিকের সঙ্গে চুক্তি করে বিশেষ ধরনের ইট বানিয়ে নেয়া হচ্ছে। এ ইটগুলো প্রাচীন ইটের মতো অবকিল। প্রতœতত্ত্ব অধিদফতর সূত্র জানায়, ইটগুলো দেশের ইটভাঁটি থেকে বানিয়ে নেয়া হলেও প্রত্ন স্থাপনাকে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে নেয়ার কাজ করছে শ্রীলঙ্কার নির্মাণ শ্রমিকরা। মহাস্থানে আসা এক বিদেশী পর্যটক জানালেন, ওয়েবসাইটে তিনি প্রাচীন পুন্ড্রনগরী মহাস্থানগড়ের ছবি দেখে কথা পড়ে দেখতে এসেছেন। ফিরি গিয়ে তিনি পরিচিতজনদের পাঠাবেন। পর্যটক আকর্ষণে ইতোমধ্যে মোটেল ক্যাফেটেরিয়া, বিমান ও বেসরকারী বিমানের কানেক্টিং ফ্লাইটসহ শুল্কমুক্ত বিপণীতে পর্যটকদের জন্য ২০ হতে ৩০ শতাংশ ছাড় দেয়া হয়েছে; এমনটি জানিয়ে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোশেনের এক সূত্র জানায় চলতি বছরজুড়েই পর্যটকদের জন্য এ ছাড় থাকবে। মহাস্থানগড় এলাকার আশপাশে গোকুল মেড় (বেহুলার বাসরঘর হিসেবে অধিক পরিচিত), বৌদ্ধদের নির্মিত উচ্চতর বিদ্যায়াতন ভাসুবিহার যাতায়তের ব্যবস্থা হয়েছে। পর্যটকদের কেউ রাত্রিযাপন করতে চাইলে প্রতœতত্ত্ব বিভাগের রেস্ট হাউস সংস্কার করা হয়েছে। মহাস্থানগড়ের চারদিকে দৃষ্টিনন্দন করে তোলা হচ্ছে। এলাকার লোকজন ও ব্যবসায়ীরা বলছেন পর্যটক আগমনে সকলেই লাভবান হয়। বেচাকেনা বেড়ে যায়। ইতোমধ্যে দেশী হস্তশিল্পের নানা পণ্য বিক্রিও শুরু হয়েছে।
×