ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

টেইট ও যুবরাজে দৃষ্টি

অস্ট্রেলিয়া-ভারত প্রথম টি২০ আজ

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ২৬ জানুয়ারি ২০১৬

অস্ট্রেলিয়া-ভারত প্রথম টি২০ আজ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এ্যাডিলেড ওভালে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের মধ্যকার তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি২০ আজ। ৪-১এ ওয়ানডে সিরিজ হারের পর মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে ভারতীয়দের জন্য এটি ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই। বড় দু’দলের মধ্যকার ছোট্ট ফরমেটের দ্বৈরথকে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবেও দেখা হচ্ছে। মার্চ-এপ্রিলে ভারতে অনুষ্ঠিত হবে টি২০ বিশ্বকাপের ষষ্ঠ আসর। টেস্টের পর এবার টি২০তেও র‌্যাঙ্কিংয়ে এগোনোর সুযোগ ভারতের সামনে। এসবের পাশাপাশি সিরিজে বাড়তি আকর্ষণ শন টেইট ও যুবরাজ সিংয়ের উপস্থিতি। বিশ্বকাপ সামনে রেখে দু’জনই দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফিরেছেন। কেমন করবেন নিজেদের হারিয়ে খোঁজা এক সময়ের তুখোড় দুই পারফর্মার? সেটি দেখতে এই দু’জনের ওপর বাড়তি দৃষ্টি থাকবে। ওয়ানডে সিরিজ হারের পর ফের ধোনির নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও ইন্ডিয়ান বোর্ডের (বিসিসিআই) পক্ষ থেকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে টি২০ বিশ্বকাপ পর্যন্ত তিনিই অধিনায়ক থাকছেন। কিন্তু ব্যর্থতার এ ধারা অব্যাহত থাকলে বিশ্বকাপের পরই হয়তো সরে যেতে হবে বিশ্বজয়ী এই সেনাপতিকে। গত বিশ্বকাপের সেমিতে এই অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে বিদায় নেয়ার পর বাংলাদেশ সফরে (ওয়ানডে) ও ঘরের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ওয়ানডে এবং টি২০তে হারে ক্রিকেটের মোড়লরা। এই সফরে ওয়ানডে সিরিজে হারলেও ধোনিদের ব্যাটিং প্রশংসার দাবি রাখে। পাঁচ ম্যাচের চারটিতেই তিন শ’র ওপরে স্কোর গড়ে সফরকারীরা। পঞ্চম ও শেষ ম্যাচে ৩৩১ রান করে ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে জয় তুলে নেয় ধোনির দল। সুতরাং ঘুরে দাঁড়াতে হলে বোলারদেরই ভাল করতে হবে। বিষয়টা অনুধাবন করছেন ভারত অধিনায়ক, ‘গতবার যখন অস্ট্রেলিয়ায় এসেছিলাম তখন লাইনআপ দারুণ ছিল। বোলারদের নৈপুণ্যেই বিশ্বকাপের সেমিতে খেলেছিলাম। আমাদের ব্যাটিং সবসময়ই জমাট, মূল সমস্যা বোলিংয়ে। ভাল রেজাল্ট পেতে হলে এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে হবে।’ রোহিত শর্মা, শিখর ধাওয়ান, বিরাট কোহলি, ধোনি, স্টিভেন স্মিথ, এ্যারন ফিঞ্চ, ডেভিড ওয়ার্নারÑ দু’দলে ধুন্ধুমার সব তারকার অভাব নেই। কিন্তু এই সিরিজে শন টেইট ও যুবরাজের দিকে বিশেষ দৃষ্টি থাকবে। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর অস্ট্রেলিয়া দলে টেইট। ২২ ফেব্রুয়ারি ৩৪ বছরে পা রাখতে যাওয়া টেইট ২০১১ বিশ্বকাপে সর্বশেষ জাতীয় দলের হয়ে খেলেন। ঘরোয়া বিগ ব্যাশ লীগে এবার হোবার্ট হারিকেন্সের হয়ে ৮ ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়ে পুনরায় অসি নির্বাচকদের নজর কাড়তে সমর্থ হন। ৩৪ বছর বয়সে পা রাখা একজন ফাস্ট বোলারকে পাঁচ বছর পর দলে নিলে সেটি ঘিরে আগ্রহ তৈরি হওয়া স্বাভাবিক। ২০০৫ সালে টেস্ট দিয়ে এমন সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এসেছিলেন, যে সময় পাকিস্তানের শোয়েব আকতারের সঙ্গে গতির ঝড় তোলার দ্বৈরথটা ভালই জমে উঠেছিল তার সতীর্থ ব্রেট লির। মাত্র ৪ ওয়ানডে খেলার অভিজ্ঞতায় ২০০৭ বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৩ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার চতুর্থ শিরোপা জয়ে রেখেছিলেন বড় ভূমিকা। গতি বা সামর্থ্য নিয়ে কখনই প্রশ্ন ছিল না। তাকে আসলে পেয়ে বসেছিল বৈরাগ্য! প্রায় দুই বছরের জন্য নিজে থেকেই সরে গিয়েছিলেন তিনি। ২০০৯-এ ফিরলেও ২০১১ পর্যন্ত ১৭টি ওয়ানডে খেলে দৃশ্যপট থেকে হারিয়ে যান। এরপর টি২০ও খেলা হয়নি। মিচেল জনসন অবসরে, ইনজুরিতে মিচেল স্টার্কসহ একাধিক পেসার সঙ্কটের মাঝে তাই বিগ ব্যাশে আলো ছড়িয়ে ফের জাতীয় দলে টেইট। অন্যদিকে যুবরাজ ফিরেছেন প্রায় দুই বছর পর। ২০১৪ টি২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে হারের জন্য এই তারকাকেই দায়ী করা হয়। সেদিন ২১ বলে ১১ রান করেছিলেন যুবি, এরপরই বাদ পড়েন ভারতের ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক। এবার আরেকটি বিশ্বকাপ সামনে রেখে তুখোড় এই তারকার জন্য সিরিজটা আরেকটি সুযোগ। যুবরাজ কি পারবেন সুযোগটা কাজে লাগাতে? দৃষ্টি থাকবে জয় পাওয়া শেষ ওয়ানডেতে আলো ছড়ানো তরুণ মানিশ পা-ে ও পেসার জাসপ্রিত বুমরার দিকে। পাশাপাশি টেস্টের পর টি২০তেও র‌্যাঙ্কিংয়ে এগোনোর সুযোগ ভারতের সামনে। ২০০৭ থেকে এ পর্যন্ত দু’দল মোট ৯ টি২০তে মুখোমুখি হয়, যেখানে ভারতের জয় ৫ ও অস্ট্রেলিয়ার ৪টিতে।
×