ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

কম টাকার প্রলোভন

হজযাত্রীদের বিভ্রান্ত করছে সিন্ডিকেট

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ২৫ জানুয়ারি ২০১৬

হজযাত্রীদের বিভ্রান্ত করছে সিন্ডিকেট

ডিএম তালেবুন নবী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ॥ এবার আবারও হজযাত্রী সংগ্রহে প্রতারকচক্র মাঠে নেমে পড়েছে। দাপিয়ে বেড়াচ্ছে পাঁচ উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল। বিশেষ করে বরেন্দ্রর নির্জন গ্রাম ও একেবারে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলের দুর্গম এলাকার সহজ-সরল মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে টাকা লুটে নেয়ার ফন্দি শুরু করে দিয়েছে। আগে থেকেই এরা তৎপর ছিল। সরকারীভাবে এবারের হজ প্যাকেজ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে। প্রথম প্যাকেজে কোরবানিসহ ধরা হয়েছে তিন লাখ ৬০ হাজার ৮০ টাকা আর দ্বিতীয় প্যাকেজে নির্ধারণ করা হয়েছে তিন লাখ ৪ হাজার ৯০৩ টাকা। পাশাপাশি বেসরকারী এজেন্সিগুলোর পক্ষ থেকেও সরকারী দ্বিতীয় প্যাকেজের সমমূল্যের সর্বনিম্ন একটি প্যাকেজ ঘোষণা করেছে গত ১৩ জানুয়ারি। কিন্তু এক শ্রেণীর প্রতারকচক্র কিছু এজেন্সির নাম করে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার আশ্বাসে ও কম টাকার প্রলোভন দিয়ে বাজার দখলে নেমে পড়েছে। কোন কোন ক্ষেত্রে ৮০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা কমে হজযাত্রী সংগ্রহে জোর তৎপরতা শুরু করেছে। এরা এজেন্সির নির্ধারিত প্রতিনিধি না হওয়ার পরও মধ্যস্বত্বভোগী সেজে প্রতারণায় নেমেছে। এদের মধ্যে মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন, মাদ্রাসা শিক্ষক এবং বিভিন্ন বিভাগের অবসরে যাওয়া দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী রয়েছে। সরকারের সর্বনিম্ন প্যাকেজ মূল্যের কমে হজে না যাওয়ার জন্য প্রতি বছর সরকার ও হাব সতর্ক করলেও তা আমলে না নিয়ে দালাল-সিন্ডিকেট বিভ্রান্তি ছড়িয়ে হজযাত্রীদের দলে টানার চেষ্টা করছে। তাদের টার্গেট পুরো জেলা হতে সংগ্রহ আড়াই শ’ জন। কম টাকায় হজে যাওয়ার প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ায় প্রকৃতভাবে বৈধ হজ এজেন্সিগুলো বেকায়দায় পড়েছে। সর্বশেষ দুই লাখ ১০ হাজার টাকাতেও হজে পাঠানোর জন্য দালালচক্র প্রতিযোগিতা করছে। এ বছর বাংলাদেশ থেকে হজে যাওয়ার অনুমোদন পেয়েছে এক লাখ ১৩ হাজার ৮৬৮ জন। এর মধ্যে সরকারী ব্যবস্থাপনায় মাত্র পাঁচ হাজার হজযাত্রী যেতে পারবেন। বাকি এক লাখ ৮ হাজার ৮৬৮ জন যাবে বেসরকারী ব্যবস্থাপনায়। আর এই সুযোগ নিয়েছে কিছু ভূঁঁঁইফোড় এজেন্সি। তারাই সিন্ডিকেট করে মাঠে-ময়দানে ছড়িয়ে দিয়েছে কম মূল্যে হজে নিয়ে যাওয়ার প্রলোভনদানকারী দালালচক্র। বেসরকারী হজ এজেন্সি মালিকদের সংগঠন হাবের এক কর্মকর্তা জনকণ্ঠকে জানান, ইতোমধ্যেই বেসরকারী সংস্থার মাধ্যমে হজে যাওয়ার সিদ্ধান্তকারীরা ইমাম-মুয়াজ্জিনদের দখলে চলে গেছে।
×