শীতের চাওয়া
শীতের সকাল হিম কুয়াশা
শীতের সকাল ভাপা,
চালের গুড়োয় গুড় নারকেল
দিতেই হবে মাপা।
কমলা বরন রোদের গড়ন
যায় না কভু আঁকা,
ঝিলিক মারে এই উঠোনে
সেই উঠোনে ফাঁকা।
শিশির জলে সূর্যি কিরণ
আয়না মতি খেলা,
হিম কুয়াশা হিম কুয়াশা
ফুরোয় শীতের বেলা।
সন্ধ্যা হলেই লেপ কম্বল
নকশী কাঁথা জুড়ে,
উম ছড়ানো ঘুম যেন যায়
সবার ঘরে ঘরে।
বড়বেলা বাদ
তাই তাই তাই
আমার কাছে যাই
আমার ছিল রং পেন্সিল
সেটা আবার চাই।
রং পেন্সিল রং পেন্সিল
একটানেতো পাখি,
বটগাছেতে পাখির ছানা
ঠোটেতে ফল রাখি।
ফল পেকেছে ফল পাকেনি
টক মিষ্টি স্বাদ,
আমি হবো ছোটবেলা
বড়বেলা বাদ।
রানুর চিঠি
নূপুর পরে দুপুর বেলা
উপুড় হয়ে রানু,
লিখছে চিঠি শুরুটা তার
কেমন আছো নানু?
নানু থাকেন দূর বগুড়া
রানু থাকে ঢাকা,
নানুর বাড়ি নানুর বাড়ি
বলছে রেলের চাকা।
রেল ঝমঝম রানুর চিঠি
নিও তোমার সাথে,
ভুল বানানে লেখা তবু
কি হয়েছে তাতে।
নানুর জন্য ভালবাসা
ছোট্ট রানুর বুকে
বড় হলেই ভুলগুলো সব
যাবেই যাবে চুকে।