ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পথের প্রয়োজন সংস্কার

প্রকাশিত: ০৩:৩৯, ২১ জানুয়ারি ২০১৬

পথের প্রয়োজন সংস্কার

শরীফ উল্লাহ সাপের মতো আঁকাবাঁকা মেঠোপথ আজকের মহাসড়কে রূপান্তর হওয়ার পেছনে যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে গ্রামগঞ্জের সকল শ্রেণীর জনসাধারণের। মানুষের চলাচলের অন্যতম মাধ্যম হলো সড়ক পথ। বেশিরভাগ মানুষই নির্দিষ্ট কোন স্থান নির্বাচন করে চলাচলের পথ বেছে নেন না। যে যেমন করে সুযোগ পায় তেমন করে চলাচলের পথ নির্ধারণ করে ফেলেন। আর নির্ধারণকৃত চলাচলের ক্ষুদ্র পথটি এক সময় এসে সড়কপথে পরিণত হয়। গ্রামে বেশিরভাগ মানুষ যাতায়াতের পথটি সংক্ষেপ করে ফেলেন। কোন কোন সময় মানুষের ফসলী জমির মাঝখান দিয়ে হেঁটে চলাচলের পথ বের করে। কেউ জমির আল দিয়ে কেউ আবার যোগ্য একটি পথ নির্বাচন করে সেটিকে চলাচলের যোগ্য করে তোলে। এসব সড়ক এক সময় সড়কে রূপান্তরিত হয়েছে। প্রতিদিন মানুষ এ সড়কটি নিজেদের চলাচলের মাধ্যম করে নেয়। অনেক সময় এ মেঠো পথটি নির্ধারিত কোন ব্যক্তির নামে জন্মলাভ করে। যার উদাহরণ আবদুল রব মিয়া সড়ক, আমিন রোড, মমিন রোড সড়ক ইত্যাদি নামের সড়ক। এ ধরনের সড়ক এক সময় মেঠোপথ ছিল বা চলাচলের অযোগ্য ছিল। অল্প দিনে এ সড়ক বেড়ে ওঠেনি। মানুষের চলাচলের সুবিধার জন্য আজকের মেঠোপথ মহাসড়কে পরিবেষ্টিত হয়েছে। আমার চোখে দেখা অনেক শীর্ণ পথ জরাজীর্ণ অবস্থান থাকে যার কোন তদারকি যথাসময় নেয়া হয় না। যদিও কোন সরকারী খাত থেকে উদ্যোগ নেয়া হয় তাহলে সংস্কারের বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে গড়িমসি করে। মানুষের সৃষ্টি করা মেঠোপথ আজকের মহাসড়কে অসংখ্য যানবাহন চলাচলের সুযোগ পেয়েছে। মানুষ যদি বিন্দু বিন্দু করে এ পথ প্রসারিত না করত তা হলে এসব রাস্তা-পথ বলে কোন চিহ্ন থাকত না। মানুষের গড়া এ পথ ধরে হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করে। এক সময় গ্রামের মেঠোপথ ছিল কাঁচা রাস্তা। কিন্তু বর্তমানে খুব কম এলাকায় পাওয়া যাবে কাঁচা রাস্তার সড়ক। বর্তমানে এ সমস্ত কাঁচা রাস্তা পিচঢালা সড়ক নামে পরিচিত। গ্রামের আনাচে কানাচে অধিকাংশই পিচঢালা কংক্রিটের সলিং হয়ে ব্যস্ত সড়কে উন্নীত হয়েছে। হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর থেকে
×