ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

টেস্ট র‌্যাঙ্কিং

ব্রডের উত্থান, দক্ষিণ আফ্রিকার পতন

প্রকাশিত: ০৬:৫৮, ১৯ জানুয়ারি ২০১৬

ব্রডের উত্থান, দক্ষিণ আফ্রিকার পতন

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিষয়টা কাকতালীয় হলেও প্রতিফলনটা বাস্তব। স্টুয়ার্ট ব্রডের বিধ্বংসী বোলিংয়ে মাত্র তিনদিনেই জোহানেসবার্গ টেস্টে হেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই হারে আইসিসি টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান থেকে পতন হয়েছে প্রোটিয়াদের। আর র‌্যাঙ্কিংয়ে বোলারদের তালিকায় এক নম্বরে উঠে গেছেন জোহানেসবার্গ জয়ের ‘নায়ক’ ব্রড! ২০০৪ সালে স্টিভ হারমিসনের পর মাত্র দ্বিতীয় ইংলিশ বোলার হিসেবে শীর্ষস্থানে এই পেস সেনসেশন। ব্রডকে জায়গা ছেড়ে দিয়ে দুইয়ে নেমে গেছেন ভারতীয় স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তাদের পয়েন্ট যথাক্রমে ৮৮০ ও ৮৭১। ৮৫০ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার ডেল স্টেইন। পরের দু’টি স্থানে পাকিস্তানের ইয়াসির শাহ (৮৪৬) ও ইংল্যান্ডের জেমস এ্যান্ডারসন (৮১০)। জোহানেসর্বাগে ৭ উইকেটের জয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই ২-০তে সিরিজ জেতে ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১৭ রান দিয়ে ৬ উইকেটসহ ম্যাচে মোট ৮ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন ব্রড। দুর্দান্ত পারফর্মেন্সের পর কয়েকজনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ইংল্যান্ড পেসার বলেন, ‘ম্যাচের প্রথমদিন একটু অসুস্থ বোধ করছিলাম। চিকিৎসকের প্রচেষ্টায় সৌভাগ্যক্রমে খুব দ্রুত সেরে উঠি।’ দ্বিতীয় ইনিংসে এভাবে ঘুরে দাঁড়ানো প্রসঙ্গে তিনি আরও যোগ করেন, ‘বোলিং কোচ ওটিস গিবসন ও অন্য কোচদের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। পরিকল্পনা ছিল ব্যাটসম্যানদের সামনে এনে খেলানো। চেষ্টা করেছি ফুল লেন্থ বল প্রতিপক্ষের ব্যাটের কানায় লাগিয়ে ক্যাচ পেতে।’ আর দলীয় র‌্যাঙ্কিংয়ে ভারত সফরে চার টেস্টের সিরিজে ৩-০তে হারের পর এবার ঘরের মাটিতে ভরাডুবির খেসারত দিল এবি ডি ভিলিয়ার্সের দল। তিনে নেমে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আনুষ্ঠানিকতার শেষ টেস্টে হারলে চারে নেমে যাবে প্রোটিয়ারা। অন্যদিকে পাঁচ বছর পর ফের এক নম্বর আসনে বসল বিরাট কোহলির ভারত। ২০১১ বিশ্বকাপ জয়ের বছর মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে প্রথমবারের মতো শীর্ষে উঠেছিল দলটি। তিন নম্বরে অস্ট্রেলিয়া। আসন্ন নিউজিল্যান্ড সফরে অন্তত ১-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতলেও ভারতকে টপকে এক নম্বরে ওঠার সুযোগ স্টিভেন স্মিথদের সামনে। এই ক’দিন আগেও যারা ছিল দুর্ধর্ষ সেই দক্ষিণ আফ্রিকার এই অবস্থা কেনÑ ডেল স্টেইন, ভারনন ফিল্যান্ডার, জেপি ডুমিনিরা নেই বলে? বিষয়টা সেভাবে দেখছেন না হাসিম আমলা দায়িত্ব ছাড়ায় ওয়ানডের পাশাপাশি টেস্টেও নেতৃত্ব পাওয়া এবি ডি ভিলিয়ার্স। এবি বলেন, ‘আমাদের অন্য বিষয় নিয়ে কাজ করতে হবে। ধারাবাহিকতা ধরে রাখাটা শিখতে হবে।’ দলের মিইয়ে পড়ার কারণ জানাতে গিয়ে তিনি আরও যোগ করেন, ‘বাস্তবতা হচ্ছে আমরা আগের সেই দল নেই। এখন অনেক নতুন নতুন খেলোয়াড় আসছে। সঙ্গে ফর্মটাও খারাপ যাচ্ছে। এখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে হলে অবশ্যই বিশেষ কিছু করতে হবে।’ কিছুদিন আগে প্রশ্ন উঠেছিল অতিরিক্ত চাপ সামলাতে কোন এক ফরমেট ছাড়তে পারেন ডি ভিলিয়ার্স। সেটিও পরিষ্কার করেছেন তিনি, ‘কখনই টেস্ট ক্রিকেট ছাড়ার কথা ভাবিনি, শুধু বছর জুড়ে আরেকটু বেশি বিশ্রাম নেয়ার কথা ভাবছিলাম। আর খেলাটা তো কোন ব্যাপার নয়, আমি শুধু নিজেকে সতেজ রাখতে চাই। বছর জুড়ে খেললে আপনার খেলার মান ধরে রাখাও কঠিন। এখন আমাকে শুধু একটু ভারসাম্য খুঁজে বের করতে হবে।’
×