ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে মালয়েশিয়ার সঙ্গে এফটিএ চুক্তি হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ১৯ জানুয়ারি ২০১৬

বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে মালয়েশিয়ার সঙ্গে এফটিএ চুক্তি হচ্ছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধিতে মালয়েশিয়ার সঙ্গে মুক্তবাণিজ্য চুক্তি করা হবে। মালয়েশিয়ায় বরাবরই জনশক্তি রফতানি করছে বাংলাদেশ। এরই ধারাবাহিকতায় এবার পণ্য রফতানি বাড়ানোর উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। এজন্য দু’দেশের মধ্যে প্রয়োজন মুক্তবাণিজ্য (ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট) চুক্তি। এ চুক্তির ফলে মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বড় অঙ্কের যে বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে তা কমে আসবে। একই সঙ্গে এদেশে মালয়েশিয়ার বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বর্তমান মালয়েশিয়া সফর করছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি দেশটির আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও শিল্পবিষয়ক মন্ত্রী মোস্তফা মোহাম্মদের সঙ্গে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিষয়ে আলোচনা করেন। ওই আলোচনায় এফটিএ চুক্তি করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন দুই মন্ত্রী। একই সঙ্গে তৈরি পোশাক, ওষুধ, গাড়ির ব্যাটারি, শাক-সবজি রফতানির ওপর শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা প্রদান করার দাবি করা হয়েছে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়া বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা সহজ করা উচিত। এটি করা হলে উভয় দেশের মধ্যে যাতায়াত সহজ হবে এবং বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে। তোফায়েল আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবং মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে আলোচনার সময় উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছিল। তার ভিত্তিতেই উভয় দেশ বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য ব্যবধান কমিয়ে আনতে বাংলাদেশকে বেশি পরিমাণে পণ্য রফতানি করতে সুবিধা প্রদান করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার বিশ্ববাজারে রফতানি বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে রফতানি পণ্য এবং বাজার সম্প্রসারণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। বাণিজ্য সুবিধা পাওয়া গেলে মালয়েশিয়ার বাজারে বাংলাদেশের পণ্যের রফতানি বাড়বে। তিনি বলেন, বিনিয়োগের জন্য সবধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে সরকার। সহজলভ্য দক্ষজনশক্তি, বিদ্যুতসহ প্রয়োজনীয় সকল সুবিধা দিচ্ছে বাংলাদেশ। পৃথিবীর অনেক দেশ বাংলাদেশে বিনিয়োগর আগ্রহ প্রকাশ করছে। ইতোমধ্যে সরকার ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ হাতে নিয়েছে। প্রয়োজন হলে মালয়েশিয়ার বিনিয়োগকারীদের একটি স্পেশাল ইকোনমিক জোন প্রদান করা হবে। জানা গেছে, গত ২০১২-১৩ অর্থবছরে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য হয়েছে ২০০ কোটি ২২ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলারের। এর মধ্যে মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশ আমদানি করেছে ১৯০ কোটি ২১ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। আর তার বিপরীতে বাংলাদেশ রফতানি করেছে ১০ কোটি ১ লাখ ১০ হাজার ডলার। দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যে ঘাটতি ১৮০ কোটি ১৯ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার।
×