ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

জাতিসংঘের স্বীকৃতি পেল ভাসমান সবজি চাষ

প্রকাশিত: ০৪:২৮, ১৫ জানুয়ারি ২০১৬

জাতিসংঘের স্বীকৃতি পেল ভাসমান সবজি চাষ

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ ভাসমান সবজি চাষে আন্তর্জাতিক সম্মাননা পেয়েছে বাংলাদেশ। আর এর নেপথ্যে রয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ আবু তৈয়ব চৌধুরী। প্রায় দেড় যুগ ধরে তিনি এর ওপর গবেষণা করে আসছেন। অবশেষে মিলেছে তাঁর গবেষণার স্বীকৃতি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষক ২০১২ সালের শেষের দিকে সাসটেইনেবল এগ্রিকালচার টেকনোলজি নেটওয়ার্ক এশিয়া গ্লোবাল সার্ভেতে গুরুত্বপূর্ণ এক জরিপ কাজ শুরু করেন। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের ভাসমান সবজি চাষকে টেকসই প্রযুক্তি হিসেবে তুলে ধরে স্বীকৃতির জন্য একটি প্রস্তাবনা পেশ করেন। জার্মানীর হোহেনহেইম ইউনির্ভাসিটি পরিচালিত ফুডস সিকিউরিটি সেন্টার এর পক্ষ থেকে জরিপের তথ্য সংগ্রহ ও প্রযুক্তি বিশেষণের কাজে তিনি নেতৃত্ব দেন। এক্ষেত্রে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বাংলাদেশের সবজি চাষ এখন বিশ্ব ঐতিহ্য। ভাসমান সবজি চাষ পদ্ধতিটি গত ১৫ ডিসেম্বর জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার স্বীকৃতি লাভ করে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) থেকে গত ২০ ডিসেম্বর এই স্বীকৃতিপত্র বাংলাদেশের কৃষি মন্ত্রণালয়ে এসে পৌঁছেছে। এই গবেষণা ও স্বীকৃতি দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোর পাশাপাশি অন্যান্য জেলাগুলোতেও পরিত্যক্ত, জলযুক্ত অনাবাদি, জলাশয়যুক্ত জমি, হাওড়-বাঁওড় ইত্যাদি ভাসমান সবজি চাষের ফলে একদিকে যেমন বেকার কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে, অপরদিকে, দেশের জনগণের খাদ্য ও পুষ্টির চাহিদা পূরণেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। চবি রেজিস্টার দফতর সূত্রে জানানো হয়, প্রফেসর ড. আবু তৈয়ব চৌধুরী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের পূর্বে ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ চার বছর ইন্দোনেশিয়াতে অতিবাহিত করেন। সেখানে তিনি ইউনাইটেড নেশনস ইকোনোমিক এ্যান্ড সোস্যাল কমিশন ফর এশিয়া এ্যান্ড প্যাসিফিক (ইউএন-ইএসসিএপি) এর কৃষি বিষয়ক অঙ্গ সংগঠন সেন্টার ফর এলিভেশন অব প্রোভার্টি থ্রো সাসটেইনেবল এগ্রিকালচার (সিএপিএসএ) কৃষি উন্নয়ন প্রশিক্ষণ ও রিজিওনাল স্টাটাস্টিক্যাল ডাটাবেজ বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কর্ম ও অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ইতোমধ্যে দেশে-বিদেশে আরও অনেক সম্মান বয়ে এনেছেন দেশের জন্য।
×