নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ১৩ জানুয়ারি ॥ সবজির জন্য খ্যাতি রয়েছে নীলগঞ্জ ইউনিয়নের। আর সেই সবজি চাষীদের উৎপাদিত শাক-সবজিসহ অন্যান্য ফসল বাজারজাত করতে পাখিমারা খালের ওপর এ ব্রিজটি করার দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। ব্রিজটি নির্মাণের ফলে পাঁচটি গ্রামের ছয় শতাধিক চাষী তাদের কৃষিপণ্যসামগ্রী বাজারে ক্রয়-বিক্রয়ে সহজতর সুযোগ পাচ্ছে। সেটি পূরণও হতে যাচ্ছে। তবে কবে নাগাদ এ কাজটি শেষ হচ্ছে তা সঠিকভাবে জানাতে পারছেন না এলজিইডি ডিপার্টমেন্ট।
চাকামইয়া নদীতে কলাপাড়ার সঙ্গে সংযোগের জন্য পরিত্যক্ত আয়রন ব্রিজের অবকাঠামো দিয়ে পাখিমারার খালে এ ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় প্রায় দেড় বছর আগে। বাড়তি অবকাঠামো কেনার জন্য নির্দেশনা রয়েছে। শুধু অবকাঠামো স্থাপন করতে ২২ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। সুরেশ বাবু নামের এক ঠিকাদার এ কাজটি করছেন। কিন্তু বছর পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত আয়রন স্ট্রাকচারের কাজ শেষ হয়নি। রয়েছে নানা ধরনের অনিয়ম আর ত্রুটির অভিযোগ। রেল পাটি, আয়রন বীম, ক্রস এ্যাঙ্গেল যথাযথভাবে দেয়া হয়নি। এখন কাজ বন্ধ রয়েছে। কৃষকসহ স্কুল-মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীর সুবিধার্থে স্থানীয় মেম্বার কামাল হোসেন গ্রামবাসীর সহায়তার ব্রিজের এক পাশে কাঠের তক্তার পাটাতন দিয়ে চলাচল উপযোগী করে রেখেছন। ব্রিজটির স্ট্রাকচার এতটা নড়বড়ে যে শুধু মানুষ হাঁটার সময় ঠক ঠক করে। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ কেরামত হোসেন নামের এক ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী এ কাজটি দৃশ্যমানভাবে করছেন। যথাযথ মান নিয়ন্ত্রণ করা হয়নি। এ ব্রিজটির তদরকিতে নিয়োজিত এলজিইডির প্রকৌশলী আতিক হোসেন ব্রিজটির দৈর্ঘ্য কত, কবে কাজ শেষ হবে তা কিছুই জানাতে পারেননি।
তবে উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান জানান, আয়রন স্ট্রাকচারের কাজ এখন পর্যন্ত শেষ হয়নি। সবকিছু যথাযথভাবে সম্পন্ন করা হবে। এছাড়া এ ব্রিজটির পাটাতনে স্লাব দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ এডিবি থেকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, এ ব্রিজটির কাজ সম্পূর্ণভাবে সমাপ্ত হলে নীলগঞ্জের মজিদপুর, কুমিরমারা, ছোট কুমিরমারা, এলেমপুর, বাইনতলা গ্রামের কৃষকরা তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য সামগ্রী বাজারজাত করতে ব্যাপক সুবিধা পাবে। কমবে পরিবহন ব্যয়।