ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

কাজী আরেফ হত্যা ফাঁসি কার্যকরের পর তিন আসামির লাশ দাফন

প্রকাশিত: ০৫:১২, ৯ জানুয়ারি ২০১৬

কাজী আরেফ হত্যা ফাঁসি কার্যকরের পর তিন আসামির লাশ দাফন

নিজস্ব সংবাদদাতা, কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গা, ৮ জানুয়ারি ॥ মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক কাজী আরেফ আহমেদসহ পাঁচ জাসদ নেতা হত্যা মামলায় ফাঁসির দ-প্রাপ্ত তিন আসামির ফাঁসি কার্যকরের পর শুক্রবার সকালে কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গায় তিন আসামির লাশের দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসির দ-প্রাপ্ত আসামি কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বাসিন্দা সাফায়েত হোসেন ওরফে হাবিব, আনোয়ার হোসেন ও রাশেদুল ইসলাম ঝন্টুর ফাঁসি কার্যকর করা হয়। বৃহস্পতিবার রাত ১১টা থেকে পৌনে ১২টার মধ্যে যশোর কারাগারে ফাঁসি কার্যকরের পর অন্যান্য সকল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে ওই তিনজনের লাশ নিজ নিজ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে কারা কর্তৃপক্ষ। ওই রাতেই তাদের মৃতদেহ নিজ নিজ গ্রামে নিয়ে আসা হয়। পরবর্তীতে ওই তিনজনের মধ্যে আনোয়ার হোসেনের লাশ কুষ্টিয়া পৌর কবরস্থানে, সাফায়েত হোসেন ওরফে হাবিবের লাশ মিরপুরের রাজনগর গ্রামে এবং রাশেদুল ইসলাম ঝন্টুর লাশ চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়। এদিকে দীর্ঘ ১৭ বছর পর কাজী আরেফ আহমেদসহ জাসদের পাঁচ নেতা হত্যা মামলার ফাঁসির দ-াদেশপ্রাপ্ত ৯ জন আসামির মধ্যে ৩ জনের ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় জাসদের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও নির্মম হত্যাকা-ের শিকার পরিবারের সদস্যরা সন্তোষ প্রকাশ করেন। এছাড়া তারা পলাতক অন্য আসামিদের গ্রেফতার ও অবিলম্বে তাদের ফাঁসি কার্যকরের দাবি জানান। নির্মম হত্যাকা-ের শিকার জাসদ নেতা ইয়াকুব আলীর ছেলে ইউসুফ আলী রুশো বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর পর ঘাতকদের ফাঁসি হওয়ায় আমি ও পরিবারের সকল সদস্য খুশি। তবে আমাদের মধ্যে ভীতি ও আতঙ্কও রয়েছে। ১৯৯৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি বিকেলে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের কালিদাসপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সন্ত্রাসবিরোধী এক জনসভা চলাকালে চরমপন্থী সন্ত্রাসীদের ব্রাশ ফায়ারে জাসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কাজী আরেফ আহমেদ, কুষ্টিয়া জেলা জাসদের সভাপতি লোকমান হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট ইয়াকুব আলী, স্থানীয় জাসদ নেতা ইসরাইল হোসেন ও শমসের ম-ল ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
×