ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

দুটি সমাবেশে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের ভাষণ

ভবিষ্যতেও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে ॥ সৈয়দ আশরাফ

প্রকাশিত: ০৫:১৭, ৬ জানুয়ারি ২০১৬

ভবিষ্যতেও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে ॥ সৈয়দ আশরাফ

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ সন্ত্রাস-নাশকতা ও জঙ্গীবাদের পথ ছেড়ে শান্তির রাজনীতিতে ফিরে আসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। মঙ্গলবার রাজধানীতে আওয়ামী লীগ আয়োজিত দু’টি পৃথক সমাবেশে তারা বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে দেশে শুধু গণতন্ত্রই রক্ষা পায়নি, সাংবিধানিক শাসনও সুরক্ষিত হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শত ষড়যন্ত্র, আগুনসন্ত্রাস ও নাশকতা মোকাবেলা করেই রাষ্ট্রকে সুরক্ষিত করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউর বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে এবং ধানম-ির রাসেল স্কোয়ারের সমাবেশে তারা বলেন, আন্দোলনের নামে শত শত নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যার দায়ে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনার জন্য খালেদা জিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়ে তাঁরা বলেছেন, খালেদা জিয়া বার বার পরাজিত হচ্ছেন। ২০১৯ সালের নির্বাচনেও খালেদা জিয়া পরাজিত হবেন। ওই নির্বাচনেও খালেদা জিয়ার অবস্থা পৌর নির্বাচনের মতোই হবে। ৯২ দিন ধরে ভয়াল সন্ত্রাস চালানোর পর খালেদা জিয়াকে আত্মসমর্পণ করেই ঘরে ফিরতে হয়েছে। আগামীতেও তাঁকে বহুবার আত্মসমর্পণ করতে হবে। সবক্ষেত্রে ব্যর্থ খালেদা জিয়া এখন বিলাপ দিবস পালন করছে। বিএনপিতে থাকা স্বাধীনতার পক্ষের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তাঁরা বলেন, পাকিস্তানী খালেদা জিয়াকে বিতাড়িত করে বিএনপিকে নতুন করে ঢেলে সাজান। পাকিস্তানী চর খালেদা জিয়ার এ দেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার নেই। দশম সংসদ নির্বাচনের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তির দিন ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশাল দুটি সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা এ আহ্বান জানান। দুটি স্থানেই মানুষের ঢল নামিয়ে আওয়ামী লীগ রাজধানীতে বড় ধরনের সাংগঠনিক শক্তির মহড়া প্রদর্শন করে। দুটি জনসভাতেই বিপুলসংখ্যক মানুষের উপস্থিতিতে রীতিমতো বিশাল জনসভায় রূপ নেয়। একই দিন বিএনপির জনসভা থাকার কারণে এ দুটি স্থানেই কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়। তবে কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। শুধু ঢাকাতেই নয়, সারাদেশেই আনন্দ শোভাযাত্রা, সভা-সমাবেশের মাধ্যমে গণতন্ত্রের বিজয়োৎসব পালন করে আওয়ামী লীগ। মঙ্গলবার সকাল থেকেই বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে এবং রাসেল স্কোয়ারে জড়ো হতে শুরু করেন আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন পার্শ্ব সংগঠনের নেতাকর্মীরা। অনেকটাই উৎসবমুখর পরিবেশে বাদ্য বাজনার তালে তালে অসংখ্য মিছিল নিয়ে হাজির হতে থাকে এ দুটি স্থানে। দুপুর আড়াইটার মধ্যে এ দুটি এলাকা লোকে-লোকারণ্য হয়ে পড়ে। ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের শতাধিক থানা, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন এবং ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীরা জনসভা দুটোতে উপস্থিত হন। তবে এ দুটি জনসভাকে ঘিরে রাজধানীতে বেশ যানজটেরও সৃষ্টি হয়। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউর সমাবেশে বক্তৃতা করেন দলের উপদেষ্টা আমির হোসেন আমু, প্রেসিয়িাম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, পূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিম এমপি, বিএম মোজাম্মেল হক এমপি, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, নগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজ, খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাবেক আইনমন্ত্রী এ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু এমপি, দক্ষিণ সিটির মেয়র সাইদ খোকন, হাবিবুর রহমান সিরাজ, নগরের হাজী মোহাম্মদ সেলিম এমপি, আওলাদ হোসেন, শাহে আলম মুরাদ, শ্রমিক লীগের শুক্কুর মাহমুদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের মোল্লা মোঃ আবু কাউছার, যুবলীগের ইসমাইল হোসেন সম্রাট, ছাত্রলীগের সাইফুর রহমান সোহাগ প্রমুখ। জনসভা পরিচালনা করেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম এমপি। দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের সভাপতিত্বে রাসেল স্কোয়ারের সমাবেশে বক্তৃতা করেন, দলের উপদেষ্টা তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম, এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, সাবেক ডাকসু ভিপি আক্তারুজ্জামান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, ডা. দিপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক কর্নেল (অব.) ফারুক খান, দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, কেন্দ্রীয় সদস্য এস এম কামাল হোসেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক, ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস এমপি, স্বেচ্ছাসেবক লীগের পংকজ দেবনাথ এমপি, যুবলীগের মাইনুল হোসেন খান নিখিল, ছাত্রলীগের এস এম জাকির হোসাইন প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। বঙ্গবন্ধু এভিনিউ ॥ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, ৫ জানুয়ারি নির্বাচন না হলে দেশে সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি হতো, সাংবিধানিক সরকার থাকত না। খালেদা জিয়া-তারেকরা স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন বানচালের নামে সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি করে দেশকে পাকিস্তান-আফগানিস্তানের মতো অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্র করেছিল। ৫ জানুয়ারি নির্বাচন ঠেকিয়ে একটি অসাংবিধানিক সরকারের হাতে ক্ষমতা তুলে দিতে চেয়েছিল খালেদা জিয়া। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ় ও সাহসী নেতৃত্ব দিয়ে নির্বাচনের মাধ্যমে দেশকে দেশের গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক শূন্যতার হাত থেকেই শুধু রক্ষা করেননি, রাষ্ট্রকে সুরক্ষিত করেছেন। সেদিন যদি নির্বাচন না হতো তবে দেশের ক্ষমতা চলে যেত রাজাকারদের হাতে। তাদের হাতে ক্ষমতা গেলে আমাদের রাষ্ট্র সুরক্ষিত থাকত না। মতিয়া চৌধুরী বলেন, খালেদা জিয়ার হায়া-লজ্জা নেই। নির্বাচনে না আসার ভুল সিদ্ধান্তের জন্য খালেদা জিয়া ৫ জানুয়ারিতে ‘বিলাপ দিবস’ পালন করছেন। উনাকে আগামীতেও শুধু বিলাপ দিবসই পালন করতে হবে, কোনদিনই বিজয়ের মুখ দেখতে পারবেন না। পাকিস্তানের অনুচর হিসেবে খালেদা জিয়া বাংলাদেশের রাজনীতিকে কলুষিত করার ষড়যন্ত্র করছেন। এ ক্ষেত্রেও উনি ব্যর্থ হবেন। মতিয়া চৌধুরী ৩০ ডিসেম্বর পৌরসভায় নৌকা ও ধানের শীষের লড়াইয়ের কথা উল্লেখ করেন। তিনি খালেদা জিয়ার উদ্দেশে বলেন, সেই তো ধানের শীষ নিয়ে হাসিনার অধীনে নির্বাচনে এলেন অর্থাৎ সেই পানি খেলেন। গাধায় পানি খায় তবে ঘোলা করেই খায়। সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম খালেদা জিয়ার উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে বলেন, কিসের জন্য আপনি ৯২ দিন ধরে আন্দোলন করেছিলেন? ৬৪ জন মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করলেন, শত শত মানুষকে আহত করলেন, দেশের ১৭ হাজার কোটি টাকার সম্পদ ধ্বংস করলেন কেন? এসব করে আপনি কী অর্জন করেছেন? গণতন্ত্রে বিশ্বাস করলে মানুষকে হত্যা করতে হয় না, দেশের সম্পদ বিনষ্ট করা লাগে না। আসলে আপনি দেশকে ধ্বংস করে অকার্যকর রাষ্ট্র বানাতে চেয়েছিলেন। আপনি রক্তের হোলিখেলা খেলেছেন। বাঙালী জাতি আপনার এই অপকর্ম কোনদিনই ভুলে যাবে না। তিনি খালেদার প্রতি সুস্থ রাজনীতি করার আহ্বান জানান। ভবিষ্যতেও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে। মানুষ হত্যা কোন পথ নয়। ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচন বানচাল করতে গিয়ে বিএনপি নেত্রী হরতাল-অবরোধ দিয়ে মানুষ হত্যা করেছিলেন। ভেবে ছিলেন সরকারের পতন ঘটাবেন। কিন্তু জনগণ তার আহ্বানে সাড়া দেয়নি। তাই হরতাল ও অবরোধ ভয়তাল হয়ে গেছে। দেশে আর কখনও হরতাল হবে না। মাহবুবউল আলম হানিফ বিএনপিতে থাকা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, খালেদা জিয়া মনে-প্রাণে পাকিস্তানী। তাঁর স্বাধীন বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার নেই। তাই বিএনপিতে যারা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করেন, তাদের প্রতি অনুরোধ- পাকিস্তানী খালেদা জিয়াকে দল থেকে বহিষ্কার করে বিএনপিকে নতুন করে ঢেলে সাজান। তবেই সত্যিকারের বিরোধী দল হিসেবে জনগণ আপনাদের গণ্য করবে। আর পাকিস্তানী খালেদা জিয়ার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা বা সমাবেশ করারও কোন নৈতিক অধিকার নেই। ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, হরতাল অবরোধের মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াত মিলে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে যে অপরাধ করেছে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই রক্তাক্ত হাতের বিচার ঢাকাবাসী একদিন অবশ্যই করবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। জনগণ শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিল, আছে এবং থাকবে। রাসেল স্কোয়ার ॥ শিল্পমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ খালেদা জিয়াকে উদ্দেশে করে বলেন, আপনি বার বার পরাজিত হচ্ছেন। ২০১৯ সালের নির্বাচনেও পরাজিত হবেন। ওই নির্বাচনেও আপনার অবস্থা পৌর নির্বাচনের মতোই হবে। আপনি বলেছিলেন, শেখ হাসিনার পতন না ঘটিয়ে ঘরে ফিরে যাবেন না। কিন্তু আপনাকেই আদালতে আত্মসমর্পণ করে ঘরে ফিরতে হয়েছে। আপনি আরও বহুবার সারেন্ডার (আত্মসমর্পণ) করবেন। ব্যর্থতার গ্লানি খালেদা জিয়াকে কুরে কুরে খাচ্ছে। এ থেকে উনি আর বের হতে পারবেন না। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন বিএনপি যেন নির্বাচনে আসে। কিন্তু খালেদা জিয়ার লক্ষ্য ও ষড়যন্ত্র ছিল নির্বাচন নয়, দেশটাকে সামরিক স্বৈরতন্ত্রের হাতে তুলে দেয়ার। আজকের পত্রিকায় পড়েন, বিএনপির নেতারা মনে করেন, খালেদা জিয়া ও বিদেশে পালিয়ে থাকা তাঁর পুত্রের জন্য বিএনপি আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছে। কিন্তু পাকিস্তান তা মানে না। খালেদা জিয়াও মানে না। পাকিস্তানের কথা খালেদার কণ্ঠে উচ্চারিত হয়। ধিক খালেদা। এর জবাব পৌর নির্বাচনে বাংলার মানুষ দিয়েছে। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এমপি বলেন, অসাংবিধানিক পথে ক্ষমতায় আসার দিন শেষ হয়েছে। এখন কেউ এ পন্থা অবলম্বন করলে তার ফাঁসি হবে। তাই খালেদা জিয়া আহ্বান জানালেও কেউ আর এ পথে আসবে না। আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, খালেদা জিয়া নাকে খত দিয়ে পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। তবে দেশবাসী পুড়িয়ে মানুষ মারার জবাব ব্যালটের মাধ্যমে দিয়েছে। আন্দোলন আর নির্বাচনের মাঠে দুটিতেই তারা (বিএনপি) পরাজিত হয়েছে। তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে ২০১৯ সালে হবে। আর খালেদা জিয়া ওই নির্বাচনে আসতে বাধ্য হবেন। বর্তমান সরকারের সফলতা তুলে ধরে তিনি বলেন, গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে। পদ্মা সেতু হচ্ছে, বিদ্যুত সমস্যার সমাধান হয়েছে।
×