মোঃ হাবিব উল্লাহ্
রাজধানীবাসীর দৈনন্দিন জীবনে যেসব অসুবিধা আছে তার মধ্যে গণপরিবহন ব্যবস্থার কারণে দুর্ভোগ শুরুতেই রয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতে রাজধানীর রাস্তা-ঘাট ডুবে যায়। রাজধানীবাসী অবর্ণনীয় দুঃখ কষ্টে নিপতিত হয়, শুরু হয় মশার উপদ্রব, ফলে ‘ডেঙ্গু’ এখন রাজধানীতে প্রকট আকার ধারণ করেছে এবং পূর্বের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। বলা চলে গণপরিবহন নিয়ে রাজধানীবাসীর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার শেষ নেই। ঘর থেকে বের হয়ে গন্তব্য স্থানে পৌঁছাতে রাজধানীবাসীকে অবর্ণনীয় কষ্টের সম্মুখীন হতে হয়।
নগরীর লোকসংখ্যা এখন দেড় কোটি হলেও বাহির থেকে ৫০ লাখ মানুষ প্রতিদিন রাজধানীতে আসা-যাওয়া করে। গণপরিবহনের অপ্রতুলতার জন্য মানুষকে অনেক দুঃখ-কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টায় লাইনের দাঁড়িয়েও মানুষ যাতায়াতের জন্য বাস, মিনিবাস পাচ্ছে না। রিক্সা, বেবিট্যাক্সিও সময়মতো পাওয়া যাচ্ছে না, পাওয়া গেলেও রাজধানীবাসীকে ভাড়া গুনতে হচ্ছে অনেক। রাজধানীতে এখন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা অনেক বেড়েছে, বেড়েছে ছাত্র/ছাত্রী ও অভিভাবকের সংখ্যাও। প্রাইভেটকার ও ট্যাক্সির সংখ্যা একেবারে কম নয়, তবে যানজটের জন্য এসব যানবাহন রাস্তায় ঠিকমতো চলতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে। বর্তমানে রাজধানীতে বাসের সংখ্যা ৪ থেকে ৬ হাজারের মতো অথচ রাজধানীর দেড় কোটি মানুষের জন্য দরকার অন্তত ২০ হাজার বাস। মিনিবাসের সংখ্যাও কম, সিএনজি/অটোরিক্সার সংখ্যাও প্রয়োজনের তুলনায় কম। যা আছে সেগুলোতে চড়তে গেলে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হয়।
রিক্সার সংখ্যা নিতান্ত কম না হলেও প্রয়োজনের সময়ে রিকশা পাওয়া দুরূহ হয়ে পড়ে। প্রায়ই রিক্সাচালকদের সঙ্গে যাত্রীদের কথা কাটাকাটি হয়। বাস, মিনি-বাসের স্বল্পতার সুযোগ নিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে রিকশা চালকরা দ্বিগুণ/তিনগুণ ভাড়া আদায় করছে। সিএনজির সংখ্যা কম থাকার কারণে মালিকরা চালকদের কাছ থেকে দৈনিক জমার টাকার পরিমাণ ২ থেকে ৩ গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে, ফলে চালকরা যাত্রীদের কাছ থেকে ২ গুণ থেকে ৩ গুণ ভাড়া আদায় করছে। মিটারে যেতে সিএসজি চালকরা অপারগতা প্রকাশ করছে।
রাজধানীর সীমানা এবং অধিবাসী ক্রমেই বাড়ছে। ক্রমবর্ধিষ্ণু এই জনসংখ্যার জন্য একই হারে গণপরিবহন বাড়ছে না। কলাবাগান, ঢাকা থেকে
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: