ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

জাতীয় ফুটবল দলের ডিফেন্ডার ফয়সাল মাহমুদ

হতাশ হলেও হাল ছাড়িনি

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ১৮ অক্টোবর ২০১৫

হতাশ হলেও হাল ছাড়িনি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ যেখানে থমকে গিয়েছিল দুরন্ত পথচলা, সেখান থেকেই হতে পারত দুর্দান্ত-স্মরণীয় প্রত্যাবর্তন। কিন্তু বিধিবাম, সেটা হয়নি। এজন্য ছুঁয়ে গিয়েছিল হতাশা। তবে সেটা ক্ষণিকের। আশাকে অবলম্বন করেই বাঁচে মানুষ, এগিয়ে যায় অভীষ্ট লক্ষ্যের পানে। তাই কখনও আশা হারাতে হয় না। ফয়সাল মাহমুদও হারাননি। ২০১৪-১৫ মৌসুমজুড়েই বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের হয়ে চমৎকার খেলেছেন লেফট উইং পজিশনে। এরই ফল পেয়েছিলেন দীর্ঘ সাত বছর পর জাতীয় দলে ফিরে। ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের এ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে গিয়েছিলেন কিরগিজস্তানের বিশকেকে। বড় আশা করেছিলেন ‘¯েœা লেপার্ড’দের বিরুদ্ধে খেলতে পারবেন। কিন্তু দলের নতুন ইতালিয়ান কোচ ফ্যাবিও লোপেজ প্রথম একাদশে তো বটেই, ফয়সালকে খেলাননি বদলি হিসেবেও! ২০০৮ সালে এই কিরগিজস্তানের মাটিতেই তাদের বিপক্ষে খেলেছিলেন ফয়সাল। সাত বছর পর আবার তাদের বিরুদ্ধেই ভাল খেলে কামব্যাক করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু হলো না। কিন্তু কেন হলো না? চট্টগ্রামে আগামী ২০-৩০ অক্টোবর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে ‘শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতা’। এতে বিদেশী পাঁচটি এবং বাংলাদেশের তিনটি ক্লাব অংশ নেবে। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এই আসরে না খেললেও ফয়সাল মাহমুদ খেলবেন। সেটা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেডের হয়ে, ধারে। মতিঝিলে অবস্থিত মোহামেডান ক্লাব মাঠে শনিবার বিকেলে কোচ জসিম উদ্দিন জোসির অধীনে অনুশীলন করেন মোহামেডানের ফুটবলাররা। অনুশীলন শুরুর আগে কথা হয় ফয়সালের সঙ্গে। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমি খুব আশাবাদী ছিলাম, কোচ আমাকে বিশকেকে খেলাবেন। আমার ফিটনেসের কোন সমস্যাও ছিল না। অনুশীলনেও কঠোর পরিশ্রম করেছি। তারপরও কোচ আমাকে বদলি হিসেবেও খেলাননি। এজন্য প্রথমে কিছুটা হতাশ হয়েছিলাম। পরে বুঝেছি কোচের কাছে যেটা ভাল মনে হয়েছে, তিনি সেটাই করেছেন। আশা করি, আগামী নবেম্বরে তাজিকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে কোচ আমাকে মূল একাদশে রাখবেন। এজন্য আমাকে যা করণীয়, তার সবই করব।’ নতুন কোচ। ফয়সালও কিছুটা লাজুক। তাই কোচের সঙ্গে খারাপ না হলেও ‘উষ্ণ’ সম্পর্ক এখনও গড়ে তুলতে পারেননি। এখন থেকে কোচের সঙ্গে জড়তাহীন সম্পর্ক গড়ে তোলারই আভাস দিলেন ফয়সাল। বিশকেকে না খেলতে পারায় ফয়সালের চেয়ে বেশি কষ্ট পেয়েছেন তার পরিবারের সদস্য, বন্ধু এবং শুভানুধ্যায়ীরা। ‘আশা করি পরের ম্যাচে খেলে তাদের কষ্টটা লাঘব করতে পারব। আর খেললেও যেনতেনভাবে নয়, মনে রাখার মতোই খেলব’- ফয়সালের আত্মপ্রত্যয়ী আশাবাদ। এখন দেখার বিষয়, সাত বছর পর ফয়সাল লাল-সবুজ জার্সি গায়ে চাপিয়ে আবারও মাঠে ফিরতে পারেন কি-না।
×