ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

যুদ্ধাপরাধী বিচার

মীর কাশেমের মামলায় সার সংক্ষেপ জমা দিতে দুই সপ্তাহ সময় পেল রাষ্ট্রপক্ষ

প্রকাশিত: ০৬:৪১, ১৯ আগস্ট ২০১৫

মীর কাশেমের মামলায় সার সংক্ষেপ জমা দিতে দুই সপ্তাহ সময় পেল রাষ্ট্রপক্ষ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক মৃত্যুদ-প্রাপ্ত জামায়াতের নির্বাহী কমিটির সদস্য মীর কাশেম আলীর মামলার সার সংক্ষেপ জমা দিতে দুই সপ্তাহের সময় পেয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। এ্যাটর্নি জেনারেল এ মামলার সার সংক্ষেপ জমা দেওয়ার জন্য সময়ের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করে। প্রধান বিাচরপতির নেতৃত্বে চার সদস্য বিশিষ্ট আপীল বিভাগ এ আদেশ প্রদান করেছেন। বেঞ্চে অন্য বিচারপতিগন ছিলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এবং বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। এদিকে জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর মামলার আজ কার্যতালিকায় রয়েছে। নিজামীর মামলাটি আপীল কার্যতালিকার ৫ নম্বরে রয়েছে। আদেশের পর এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের দুই সপ্তাহ সময় দেয়া হয়েছে।” গত বছরের ২ নবেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য কাসেম আলীকে মৃত্যুদন্ড দেয়। ওই রায়ের বিরুদ্ধে ৩০ নভেম্বর আপীল করেন মীর কাশেম। দেড়শ পৃষ্ঠার মূল আবেদন ও এক হাজার ৭৫০ পৃষ্ঠার নথিপত্রসহ করা আপিলে মীর কাসেম সাজা বাতিল চেয়ে খালাস চেয়েছেন।চলতি বছর ২৮ মে আপীল বিভাগ আপীলের সার-সংক্ষেপ দাখিল করতে দুই পক্ষকে সময় বেঁধে দিয়েছিল। প্রসিকিউশন আনীত ১৪টি অভিযোগের মধ্যে ২, ৩, ৪, ৬, ৭, ৯, ১০, ১১, ১২ ও ১৪ নম্বর অভিযোগে মীর কাসেম আলী দোষী প্রমাণিত হয়েছেন। তবে ১, ৫, ৮ ও ১৩ নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে এসব অভিযোগ থেকে খালাস (অব্যাহতি) দেয়া হয়। প্রমাণিত অভিযোগগুলোর মধ্যে ২ নম্বর অভিযোগে তাকে ২০ বছরের কারাদন্ড দেয়া। ৩, ৪, ৬, ৭, ৯ ও ১০ নম্বর অভিযোগে তাকে ৭ বছর করে মোট ৪২ বছর কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ১৪ নম্বর অভিযোগ ১০ বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। এই ৮টি অভিযোগে তাকে সর্বমোট ৭২ বছর কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ২০১২ সালের ১৭ জুন গ্রেফতার করার পর ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে মীর কাসেমকে কারাগারে পাঠানো হয়। ২০১৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর মীর কাশেম আলীর বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণসহ ১৪টি অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। ১১ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন পক্ষ প্রারম্ভিক বক্তব্য ও প্রসিকিউশনের সাক্ষীর জবাবন্দী শুরু করা হয়। ২০১৪ সালের ১০ এপ্রিল সাক্ষী গ্রহণ শেষ হয়। মীর কাশেম আলীর বিরুদ্ধে মোট ২৪ জন সাক্ষী সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। মীর কাশেম আলীর পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয় ২০১৪ সালের ২২ এপ্রিল। শেষ হয় ২৩ এপ্রিল। তার প্েক্ষ মোট সাক্ষী প্রদান করেছেন তিন জন। ঐ বছরের ২৭ এপ্রিল থেকে প্রসিকিউশনের যুক্তিতর্ক শুরু হয়। মেষ ঞয় একই বছরের ৪ মে। প্রসিকিউশন ও আাসামী পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ রায় ঘোষণার জন্য ২০১৪ সালের ৪ মে সিএভি রাখা হয়। ২০১৪ সালের ২ নবেম্বর মীর ক াশেম আলীকে ফাসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড প্রদান করেন ট্রাইব্যুনাল।
×