ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ডিএনএ টেস্টে ৩২ দিন পর তরুণীর লাশ শনাক্ত, পরিচয় মিলল

প্রকাশিত: ০৭:৪৭, ২৮ জুলাই ২০১৫

ডিএনএ টেস্টে ৩২ দিন পর তরুণীর লাশ শনাক্ত, পরিচয় মিলল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ডিএনএ টেস্টে মিলেছে রাজধানীর উত্তরায় অজ্ঞাত এক তরুণীর লাশের পরিচয়। ৩২ দিন পর সোমবার ডিএনএ ল্যাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার লাশ শনাক্ত করা হয়। পরে পুলিশ তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। নিহতের নাম জুয়েনা আক্তার (২০)। তার বাবার নাম চাঁন মিয়া। বাড়ি কিশোরগঞ্জের টেকনিচর গ্রামে। স্বামীর নাম আবু সাঈদ। তিনি টঙ্গীর চেরাগআলী এলাকায় গার্মেন্টসে কাজ করতেন। পুলিশ জানায়, ওই তরুণীকে হত্যার পর তার লাশ উত্তরা পূর্ব থানার একটি ড্রেনে ফেলে দেয় দুর্বৃত্তরা। নিহতের বুকে গভীর ছিদ্রের দাগ ও গলায় ফাঁসের চিহ্ন ছিল। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে উত্তরা পূর্ব থানায় অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলাও দায়ের করে। উল্লেখ্য, গত ২৫ জুন রাতে উত্তরা পূর্ব থানাপুলিশ একটি ড্রেনের পাড় থেকে অজ্ঞাত হিসেবে ওই তরুণীর লাশ উদ্ধার করে। এরপর পুলিশ তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠায়। একাধিক পরিবার লাশ তাদের স্বজন বলে দাবি করে। এক পরিবার দাবি করে নিহত তরুণীর নাম জুয়েনা খাতুন। অপর আরেক পরিবার দাবি করে তার নাম সাবিনা আক্তার। ঘটনার তিন দিন পর ২৮ জুন আনিসুর রহমান নামের এক ব্যক্তি মর্গে গিয়ে মৃতদেহটি তার নিখোঁজ বোনের বলে দাবি করেন। পুলিশ তার কাছে মৃতদেহ হস্তান্তরের পর তিনি লাশ নিয়ে মাগুরার দিকে রওনা হন। আর তখনই সন্ধ্যায় দুই নারী এসে তাদের বোন জুয়েনা নিখোঁজ জানিয়ে তারাও মৃতদেহ দেখতে চান। ফলে মাঝ থেকে তার লাশ ঢাকায় ফিরিয়ে এনে আবারও মর্গে রাখা হয়। ঢামেক হাসপাতালের চিকিৎসকরা লাশ ও পরিবারের সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য সিআইডিতে পাঠানো হয়। প্রাথমিক তদন্তে তরুণীকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা সে সময় পুলিশ জানায়, ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে ওই তরুণীর লাশের পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। ওই পরীক্ষার রিপোর্ট পেতে দুই মাস সময় লাগবে। এরপর এক মাস দু’দিন পর সোমবার সিআইডি ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে ওই তরুণীর লাশের পরিচয় শনাক্ত করে। এ ব্যাপারে উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বকর জানান, ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্টের ভিত্তিতে নিহতের প্রকৃত পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
×