ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শরীয়তপুরে খাস জমি দখলের হিড়িক

প্রকাশিত: ০৪:২৬, ৯ জুন ২০১৫

শরীয়তপুরে খাস জমি দখলের হিড়িক

নিজস্ব সংবাদদাতা, শরীয়তপুর, ৭ জুন ॥ নড়িয়া পৌর এলাকায় খাস জমি দখলের হিড়িক পড়েছে। নড়িয়া পৌর এলাকায় তিনস্তরে প্রায় ২২ কোটি টাকা মূল্যের খাস জমি জবর দখল করে প্রভাবশালীরা ঘরবাড়ি নির্মাণ, ব্যবসাবাণিজ্য করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে । দখলদাররা কোন আইন কানুনের তোয়াক্কা করছে না। বেদখল হয়ে যাচ্ছে নড়িয়া উপজেলা সদরের হেলিপোর্টের জায়গা। প্রশাসন বলছে শীঘ্রই কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নড়িয়া পৌর ভূমি অফিসের উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান জানান, নড়িয়া পৌর এলাকার নড়িয়া মৌজাধীন নড়িয়া বাজারের পূর্ব পাশে ১নং ভিপি খাস খতিয়ানের ২৪২ নং দাগের প্রায় কোটি টাকা মূল্যের সরকারী খাল দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ করছে নড়িয়া কুলকাঠি গ্রামের ইতালি প্রবাসী মামুন সরদার। সে কোন নিয়মনীতি বা আইন আদালতের তোয়াক্কা করছে না। সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের কাছে জানা যায়, মামুন সরদার ৬৪২ নং দাগে মাত্র শূন্য দশমিক ৫৩০ শতাংশ জমি ক্রয় করেছে। তার পূর্ব পাশের ২৪২ নং দাগের খাল দখল করে মার্কেট তৈরির জন্য পাকা ভবন নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। স্থানীয় ভূমি অফিস থেকে তাকে জমি মাপ না হওয়া পর্যন্ত কাজ বন্ধ রাখার অনুরোধ করা হলেও সে কথায় কর্ণপাত করছে না। এ ব্যাপারে মামুন সরদারকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আমি আমার কেনা জমিতেই পাকা ভবন নির্মাণ করছি। এদিকে নড়িয়া বাজারের পশ্চিম পাশে কীর্তিনাশা নদীর পাড় ঘেঁষে নড়িয়া উপজেলার হেলিপোর্টের জমি দখল করে ইট,বালুর ব্যবসাসহ ঘরবাড়ি নির্মাণ করছে আলী আহম্মেদ সিকদার নামের স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি। নড়িয়া পৌর ভূমি অফিসের পক্ষ থেকে তাকে বার বার সরকারী জমি থেকে মালামাল ও ঘরবাড়ি সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেয়া হলেও তিনি তাতে কোন তোয়াক্কা করছেন না। পৌর ভূমি অফিসের উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা আরও জানান, নড়িয়া মৌজার ১নং ভিপি খতিয়ানের ৬৬, ৬৭ ও ৬৮ নং দাগের ৯৭ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ জমি বর্তমান বিআরএস জরিপে সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসক শরীয়তপুরের নামে রেকর্ড থাকা সত্ত্বেও আলী আহম্মেদ সিকদার এ জমি জবর দখল করে রেখেছে। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় কোটি টাকা। এ ব্যাপারে আলী আহম্মেদ সিকদার বলেন, আমি আমার জমিতে ব্যবসা বাণিজ্য করছি এবং ঘরবাড়ি করছি। সরকার যে ধরনের ব্যবস্থা নিতে চায় নিতে পারে। নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা বেগম বলেন, হেলিপোর্টসহ সরকারী খাস জমি রক্ষা করতে ইতোমধ্যে দখলদারদের নোটিস দেয়া হয়েছে। কোন কোন ক্ষেত্রে আইনী প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শীঘ্রই দখল মুক্ত হবে।
×