ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

বিএনপির গর্জন-হুঙ্কার ‘কি চাহ শঙ্খচিল’

প্রকাশিত: ০৫:০২, ১৩ জানুয়ারি ২০১৫

বিএনপির গর্জন-হুঙ্কার ‘কি চাহ শঙ্খচিল’

শাহবাগ থেকে বিআরটিসির দোতলা বাসে মিরপুর যাচ্ছিলেন ক্ষুদে ব্যবসায়ী সারোয়ার কামাল। যানজটের ভেতর বাসটি ধীরলয়ে চলছিল। কাওরানবাজারের পূর্ণিমা সিনেমা হলের সামনে পৌঁছামাত্রই পাশের গলি থেকে একদল যুবক বেরিয়ে আসে। তারা ‘জিয়ার সৈনিক আমরা, তুলে নেব সরকারের চামড়া’ সেøাগান দিয়ে চলমান বাসটিকে লক্ষ্য করে দ্রুতগতিতে পরপর পাঁচটি হাতবোমা ছুড়ে মারে। বিকট শব্দে সেগুলো বিস্ফোরিত হয়। হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে যাত্রীদের অনেকেই জখম হয়। শিশু, নারী ও পুরুষ যাত্রীরা আতঙ্কে চিৎকার করতে থাকে। ভাঙ্গা ফুটপাথজুড়ে মানুষের দৌড়াদৌড়ি করতে গিয়ে অনেকে হুমড়ি খেয়ে পড়ে। আহত হয় কেউ কেউ। তাদের দিকে ফিরে তাকাবার বা সহায়তা করার ফুরসত কারও নেই। আকস্মিক এই বোমা হামলায় বাসের দোতলা থেকে নামতে গিয়ে পা হড়কে চোট পেয়েছেন সারোয়ার কামাল। পেছনের সিটে যেখানে বসেছিলেন তার ওপরে বাসের বাইরে বোমা বিস্ফোরিত হয়ে বড় বড় ছিদ্র হয়ে যায়। জানে বেঁচে গেছেন বলে নিজেকে সান্ত¡না দিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে শুধু প্রশ্ন করেছিলেন- কেন এই বোমা হামলা! কেন তার মতো নিরীহ বাসযাত্রীদের মেরে ফেলার জন্য ‘জিয়ার সৈনিকরা’ এত উদগ্রীব? কী তাদের অপরাধ যে, কর্মক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফেরার পথে এই মৃত্যুমুখী আক্রমণের শিকার হলেন? কার স্বার্থে, কিসের জন্য এই সৈনিকরা মানুষ মারার ও দেশের সম্পদ যানবাহন বিনষ্ট করছে? কে দেবে তাঁর এই প্রশ্নের জবাব- জানেন না তিনি। ব্যবসা তাঁর ভালই চলছিল। আরও বেড়েছে। তাঁর একার রোজগারে পাঁচজনের পরিবারটি বেশ ভালই চলছিল। সন্তানরা স্কুলে পড়াশোনা করছে। যদিও নিজে তেমন শিক্ষালাভ করতে পারেননি। যদি এই বোমা হামলায় তাঁকে মৃত্যুকে ধারণ করতে হতো, তবে তাঁর পুরো পরিবারটিকে নামতে হতো রাস্তায়। ৯ জানুয়ারি রাত সাড়ে আটটায় যখন এ ঘটনা ঘটে তখন কর্মজীবী মানুষরা বাড়ি ফিরছিলেন। তাঁদের যে কেউ, যে কোন সময় হয়ে যেতে পারেন লাশ। ভাবলেই গা শিউরে ওঠে। যেমন হয় ১০ জানুয়ারি তেজগাঁও মহিলা কলেজের সামনে বাসযাত্রী অমূল্য বর্ধনের। বাসে চড়ে কর্মক্ষেত্রে যাচ্ছিলেন। বোমা মেরে বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দিলে তিনি অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। কী তাঁর অপরাধ? এ দেশের একজন সাধারণ নাগরিক তিনি। অন্য অর্থে বলতে গেলে আদমশুমারির সংখ্যা মাত্র। ‘জিয়ার সৈনিক’রা কেন তাঁর প্রাণ হরণ করতে চায়- জানেন না তিনি এর কারণ। নিজ দেশে সন্ত্রাসী, জঙ্গীগোষ্ঠীর হাতে এভাবে দগ্ধ হয়ে যন্ত্রণাকাতর অসহায়ত্বের মধ্যে তাঁকে ঠাঁই নিতে হলো কেন? এর জবাব জানে তারাই, যারা এই মানুষ হত্যার জন্য বোমাবাজি, অগ্নিসংযোগ অব্যাহত রেখেছে। ১০ জানুয়ারি সন্ধ্যায় শাহবাগে আরেকটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় বিএনপি-জামায়াত জোটের দুর্বৃত্তরা। দেশের সম্পদ বিনষ্ট করার সঙ্গে সঙ্গে মানুষ হত্যা করে তারা স্বস্তি ও সোয়াদ লাভ করার হীন চেষ্টায় মেতে উঠেছে। লক্ষ্য তাদের দেশের রাজনীতির চাকাকে পেছনের দিকে ঘুরিয়ে দেয়া। কারাগারে অন্তরীণ সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন যুদ্ধাপরাধীদের মুক্ত করা এবং দেশকে পাকিস্তানী স্টাইলে তালেবান, আল কায়েদা, লস্কর-ই-তৈয়বা, জেএমবি, আনসারউল্লাহ বাংলা টিম, হিযবুত তাহরির নামক জঙ্গী গোষ্ঠীর অভয়ারণ্য করা। গত ৬ জানুয়ারি থেকে বিএনপি-জামায়াত নামক পাকিস্তান ও জঙ্গীপন্থী দলগুলো দেশকে অস্থিতিশীল করে ঘোলাজলে মাছ শিকারের লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে সশস্ত্র অবস্থান নিয়েছে। শুধু তাই নয়, তারা পাকিস্তানী হানাদারদের উত্তরাধিকার ভূমিকায় নেমে মানুষ হত্যাসহ সম্পদ বিনষ্টে চোরাগোপ্তা হামলার পথ বেছে নিয়েছে। যে পথ নয় রাজনীতির, নয় জনকল্যাণের, নয় দেশকে অগ্রগতির সোপানে নিয়ে যাওয়া। ‘কী চাহ শঙ্খচিল?’ এই নামে প্রখ্যাত নাট্যজন মমতাজউদ্দীন আহমেদ একটি সাড়া জাগানো নাটক লিখেছিলে॥ সেই নাটকটির নাম ধার নিয়ে প্রশ্ন করা যায়- ‘কী চাহ বিএনপি-জামায়াত জোট?’ বিএনপি চায় মধ্যবর্তী নির্বাচন আর এই নির্বাচন করার জন্য তারা সরকারের পদত্যাগও চায়। আবার একই সঙ্গে সরকারের সঙ্গে সংলাপও চায়। অথচ এরাই ৫ জানুয়ারি ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন ও প্রতিহত করার জন্য সহিংস পন্থা অবলম্বন করে পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করে তোলার প্রচেষ্টা চালিয়েছিল। জনমত তাদের পক্ষে না থাকায় সকল প্রয়াসই নালা-নর্দমায় ভেসে গেছে। নির্বাচন নিয়ে আলোচনার জন্য শেখ হাসিনার আমন্ত্রণকে প্রত্যাখ্যান করে এখন আবার সংলাপ, আবার নির্বাচন দাবি- এ যেন অনেকটা ‘ছেলের হাতের মোয়া।’ এ কথা তো আজ ঐতিহাসিকভাবে সত্য যে, এই উপমহাদেশে সেই জিন্নাহ-গান্ধীর সময় থেকেই সংলাপ কোন কাজে আসেনি। পাকিস্তান ও বাংলাদেশ আমলেও সংলাপের চেষ্টা অকার্যকর হয়েছে। অনেক সময় একতরফাভাবেই সমাধান নেয়া হয়েছে। প্রশ্ন এসে যায়, সরকার কাদের সঙ্গে সংলাপ করবে? আর যাই হোক, বোমা মেরে, আগুন জ্বেলে যারা মানুষ পোড়ায়, সাধারণ নিরীহ মানুষকে লাশে পরিণত করে, পিতৃহারা-মাতৃহারা-সন্তানহারা করে কিংবা বিধবা; তাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কী নিয়ে কথা বলবেন? আর বললেও কিসের ভিত্তিতে, কী কারণে বৈঠক করবেন? করতে পারেন কেবল তাদের জঙ্গীযাত্রা, নাশকতা, হানাহানি, মানুষ হত্যার পথ ছেড়ে স্বাভাবিক রাজনীতির ধারায় ফিরে আসার জন্য। কিন্তু তাদের আইনের হাতে সোপর্দ না করে কোন্্ যুক্তিতে, কোন্্ নৈতিকতায় সংলাপ ও বৈঠক করবেন- তা স্পষ্ট হতেই হবে। যারা চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী লালন-পালন করে, মন্ত্রী-এমপি বানিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধকে ভ্রƒকুটি দেখায়, তাদের সঙ্গে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যবস্থাকারীদের সংলাপ চালাবে জনমতকে উপেক্ষা করে- সেটা কখনোই হওয়ার নয়। দেশবাসী জানে, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরবর্তী সামরিক জান্তাশাসক জিয়াউর রহমান রাজাকার, আলবদরসহ যুদ্ধাপরাধীদের গর্ত থেকে টেনে বের করে এনে সমাজে রাজনীতি, অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রতিষ্ঠিত করতে থাকে মুক্তিযুদ্ধকে ভূলুণ্ঠিত করে। পাকিস্তানী ধারায় দেশকে নিয়ে যেতে তারা হয়েছিল তার সহায়ক শক্তি। তার পতœী-পুত্র পরবর্তীকালে সেই ধারাকে আরও দৃঢ় করে সুচারুরূপে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। জিয়া রাজাকার পুনর্বাসন করেছেন, আর তাঁরা ক্ষমতার মসনদে পাশে বসিয়েছেন। জিয়ার সময় চালু হওয়া গুম, খুন, সেনা অফিসারদের নানা অজুহাতে ফাঁসিতে ঝোলায়। যাদের বেশিরভাগই ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তা। জিয়া বিভিন্ন দল ভেঙ্গে অজস্র দল গঠন করে কথিত ‘বহুদলীয় গণতন্ত্র’ নামক অশ্ব ডিম্ব প্রসব করিয়েছিলেন। যে ডিমের বেশির ভাগ অংশই নিজে গিলেছিলেন। অর্থাৎ একাত্তরের পরাজিত শক্তি, পাকিস্তানী ও চীনাপন্থীদের সমন্বয়ে গড়ে তুলেছিলেন জগাখিচুড়ি মার্কা দলটি। সেই দলটি এখন বোমা মেরে, আগুন জ্বেলে মানুষ হত্যা করার প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে। এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য গ্রেনেড হামলাও পরিচালনা করেছে রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসে। সেই হত্যাকারী ও তাদের সহযোগীদের সঙ্গে আলোচনা করবেন কী- যাতে তারা হামলা বন্ধ করে, নাকি বিএনপি-জামায়াত জোটকে ক্ষমতায় বসিয়ে দেয়ার জন্য আলোচনা হবে। টকশো’র টকবাজদের ভাষ্য তো তাই বলে। যেন সরকারের উচিত তাদের আদর-যতœসহকারে মসনদে আসীন করে দেশজুড়ে লুটতরাজ, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও দেশত্যাগে বাধ্য করা, দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার, যুদ্ধাপরাধীদের জেল থেকে মুক্ত করে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভুলিয়ে দিতে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের ফাঁসিতে ঝোলাতে। এই দিবাস্বপ্ন দেখা টকবাজরা গভীর রাতে যা উগরে দেন তাতে অনেকের ভেদবমি হতেই পারে। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের অগ্নিযুবা নেতা তোফায়েল আহমদ তো একবাক্যেই বলে দিয়েছেনÑ ২০১৯ সালের নির্বাচনের আগে কারও সঙ্গে এ নিয়ে সংলাপ করার প্রশ্নই ওঠে না। নাশকতাসহ জনগণবিরোধী তৎপরতায় যারা সশস্ত্রপন্থা অবলম্বন করছে তাদের সঙ্গে সংলাপ হতে পারে সশস্ত্রপন্থা ছেড়ে স্বাভাবিক পন্থায় ফিরে আসার জন্য। বিশ শতকের শেষার্ধে ১৯৯৬ সালে ক্ষমতাসীন বিএনপি একতরফা নির্বাচন করে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনীদের সংসদে নিয়ে এসেছিলেন শুধু নয়, বিরোধী দলের নেতাও বানিয়েছিলেন। আর এই অনৈতিক ও আইনের শাসনবিরোধী কর্মকা-ে জড়িতদের সঙ্গে বৈঠক ও সংলাপ করতে হবে কেন? খালেদার সেই সরকার দেড় মাসও টেকেনি। গণরোষে পতিত হয়ে পদত্যাগ করে নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়। বর্তমানে সেই পরিস্থিতি নেই। বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে গণরোষের কোন কারণ ঘটেনি। বরং এই সরকারের জনসমর্থন এখনও ব্যাপক। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কথা বলে বেগম জিয়া ’৯৬ সালে নির্বাচন করেছিলেন। আওয়ামী জোট তা বর্জন করেছিল। খালেদা ক্ষমতায় বসে সংবিধান সংশোধন করেছিলেন গণদাবিতে বাধ্য হয়ে। জনগণ আজ আর সেই দাবির পক্ষে নেই। কারণ দেশবাসী জানে, কোন আত্মমর্যাদাশীল জাতি তত্ত্বাবধায়ক সরকার নামক ইয়াজুদ্দিন পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারে না। তিন মাসের জন্য দায়িত্ব পাওয়া ‘উদ্দিনরা’ দুই বছর কাটিয়ে দিয়েছেন ক্ষমতায়, যা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য সহায়ক নয়। ভারতে গত এপ্রিল-মে মাসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনকালীন সরকার ছিলেন কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকারটি। যারা নির্বাচনকালে ছিলেন অন্তর্বর্তীকালীন বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার। যারা মূলত নির্বাচিত। কিন্তু অনির্বাচিত ব্যক্তিদের হাতে দেশ পরিচালনার ঝুঁকি যে মারাত্মক তা দেশবাসী দেখেছে। ২০১৪ সালে বাংলাদেশে যে নির্বাচন হয়েছে তা অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনেই হয়েছে। সুতরাং সে নির্বাচনকে অসাংবিধানিক বলা যায় না। শেখ হাসিনার বর্তমান সরকার নির্বাচিত সরকার। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত ছাড়া আর সব দলই অংশ নিয়েছিল। সেই নির্বাচন কী কারণে অবৈধ? ১৯৭০ সালে পাকিস্তানে যে নির্বাচন হয় তাতে ন্যাপ ভাসানী অংশ নেয়নি। ঘোষণা দিয়ে বর্জন করেছিল নির্বাচন। সে নির্বাচন তো কেউ অবৈধ বলেনি। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ভ-ুল করতে বিএনপি-জামায়াত জোট অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করেছিল। গণরোষে তারা পিছু হটে যেতে বাধ্য হয়। নির্বাচন বর্জন করে যে ভুল বিএনপি-জামায়াত জোট করেছে, তা থেকে বেরিয়ে আসার উপায় হিসেবে হরতাল, অবরোধ দিয়ে মানুষ হত্যা ও সম্পদ বিনষ্টের খেলা চালিয়ে যাচ্ছে। ‘ভুল’ উপলব্ধি যদি তারা করত, তবে জনগণের কাছে যেত। কূলহারা দিশাহারা হয়ে অপরাজনীতি করত না। নেতাকর্মীহীন দলকে সংগঠিত করতে মনোযোগী হতো। বোমাবাজি, নাশকতার পথ ধরে হাঁটতে হতো না। দেশ ও জনগণকে জিম্মি করে ক্ষমতায় যাওয়ার দিবাস্বপ্নে মোহগ্রস্ত হয়ে উঠত না। বোমাবাজরা, নাশকতাকারীরা বার বার ভুলে যাক- এটা ১৯৯০ নয়; ১৯৯৬ সালও নয় কিংবা ২০০৭ সালও নয়। একুশ শতকের দ্বিতীয় দশক এটা। তথ্যপ্রযুক্তির বিস্তার এমনই ঘটেছে যে, বিজেপি নেতা অমিত শাহর ফোন বা মার্কিন কংগ্রেসের বিবৃতির নামে মিথ্যাচার সহজেই উন্মোচিত হয়ে পড়ে। বিএনপি-জামায়াত জোট যে ধ্বংসের গর্জন হানছে তা স্তব্ধ করার সময় এখন। দেশ এখন উন্নতির পথ ধরে এগিয়ে চলেছে, অর্থনীতির নানান সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতি ঘটছে, আর তাকে স্তব্ধ করে দেয়ার পাঁয়তারা অচিরেই বন্ধ করতে হবে। [email protected]
×