
ছবি: জনকন্ঠ
পায়রা বন্দরের অব্যবহৃত ১৪০০ একর কৃষি জমি একসনা লিজ দেওয়ার কার্যক্রম উচ্চ আদালত ছয় মাসের জন্য স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে নির্দেশনা দিয়েছেন।
অতি সম্প্রতি উচ্চ আদালত এমন আদেশ দিয়েছেন। আদালতের এমন নির্দেশনা পেয়ে অধিগ্রহণে লালুয়ার ক্ষতিগ্রস্ত তিন হাজার কৃষক পরিবারে স্বস্তি ফিরে এসেছে। এ নিয়ে আজ রবিবার বিকেলে মুক্তিযোদ্ধা বাজারে কৃষকরা মত বিনিময় সভা করেন।
এ সভায় স্বস্তি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন লালুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত হোসেন তপন বিশ্বাস, কৃষক প্রতিনিধি লালুয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান প্যাদা, সাংবাদিক আলহাজ মো. এনামুল হক, বিশ্বাস শিহাব পারভেজ মিঠু, কৃষক মহসিন দালাল, মো. জসিম হাওলাদার, ইউপি মেম্বার জাফর হাওলাদার, মামলার বাদী শাহাবুদ্দিন হাওলাদার, মকবুল হাওলাদার প্রমুখ।
মামলার বাদী শাহাবুদ্দিন হাওলাদার জানান, মহামান্য আদালত তার নির্দেশনায় উল্লেখ করেছেন যে, স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল আইন ২০১৭ এ বলা হয়েছে ‘যে উদ্দেশ্যে কোনো স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ করা হইবে তা ভূমি মন্ত্রণালয়ের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে, উক্ত উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোনোভাবে উক্ত সম্পত্তি ব্যবহার অথবা বিক্রয়, লিজ, এওয়াজ বা অন্য কোনোভাবে হস্তান্তর করা যাইবে না।’
উল্লেখ্য লালুয়ার চারটি মৌজায় পায়রা বন্দরের অধিগ্রহণ করা অব্যবহৃত ১৪০০ একর কৃষি জমি সম্প্রতি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক পরিবারকে চাষাবাদের জন্য একসনা লিজ না দিয়ে অন্যত্র ক্ষতিগ্রস্ত নয় এমন অকৃষকদের লিজ দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ। যার প্রেক্ষিতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক পরিবারের সদস্যরা আইনি প্রতিকারের জন্য উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হন।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা অভিযোগ করেন, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে তারা যথাযথ প্রক্রিয়ায় মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদের নিয়ন্ত্রিত কৃষি জমি চাষাবাদ করার জন্য আকুতি মিনতি করেছেন। কিন্তু তারা বিষয়টি বিবেচনা করেননি।
ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, তারা এখন পর্যন্ত অর্ধেক পরিবার জমির ক্ষতিপূরণ পর্যন্ত পায়নি। উল্টো টাকা উত্তোলন করতে আর্থিকসহ নানা ধরনের হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এর উপরে চাষাবাদ করার জমিটুকু হাতছাড়া হয়ে গেলে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবিকার যোগান বন্ধ হয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়েছেন। উচ্চ আদালতের এই নির্দেশনা পাওয়ার পরে কৃষক পরিবারের সদস্যরা স্বস্তি প্রকাশ করেন।
Mily