
ছবিঃ জনকণ্ঠ
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় চোর সন্দেহে এক বাক ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বাদাম বিক্রেতাকে গণধোলাইয়ের অভিযোগ। রোববার(২৯ জুন) দুপুরে আহত প্রতিবন্ধীর বাবা বাদি হয়ে ৪জনের নামসহ অজ্ঞাত আরও ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
প্রতিবন্ধী নাজিম উদ্দিন উপজেলার ভেলাবাড়ি ইউনিয়নের শালমারা গ্রামের হাবিবর রহমানের ছেলে। তিনি পেশায় বাদাম বিক্রেতা।
অভিযোগে জানা গেছে, কাঁচা বাদাম কিনে ভেজে নিয়ে বাজারে ফেরি করে বিক্রি করেন বাক ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী নাজিম উদ্দিন। স্থানীয়রা তাকে পাগলা বাদাম বিক্রেতা নামে চিনে। বাদাম বিক্রির আয়ে চলে তার তিন সদস্যের সংসার। প্রতিদিনের মত শনিবার দিনভর স্থানীয় বাজারে বাদাম বিক্রি করে রাতে বাড়ি ফিরছিলেন নাজিম উদ্দিন। এ সময় বাড়ির পাশে পৌছলে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে পাশের বাঁশ বাগানে যান। এ সময় বাঁশ বাগানের পাশের বাড়ি তাদের প্রতিবেশি দাদন ব্যবসায়ী আলম মিয়ার ছেলে নাজমুল কয়েকজনসহ তাকে চোর সন্দেহ করে ধাওয়া দিয়ে আটক করে।
পরে নিজ বাড়িতে নিয়ে চোর অপবাদ দিয়ে তাকে গণধোলাই দেয়। এ সময় প্রতিবন্ধী নাজিমকে রড দিয়ে পিটিয়ে দুই পায়ের হাটুর নিচে ভেঙে দেয়। পরে খবর পেয়ে তার পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় আহত নাজিম উদ্দিনের বাবা হাবিবর রহমান বাদি হয়ে রোববার আদিতমারী থানায় নাজমুলসহ ৪জনের নাম ও অজ্ঞাত আরও ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
নাজিম উদ্দিনের বাবা হবিবর রহমান বলেন, হামলাকারীরা সকলে আমার ছেলেকে প্রতিবন্ধী জেনেও বেধম মারপিট করে পা ভেঙে দিয়েছে। আমরা গরিব মানুষ তার চিকিৎসার টাকাও তো নেই আমাদের। বাদাম বিক্রি করে যা আয় করে তা দিয়েই চলত সংসার। এখন সংসার চলবে কি ভাবে? চিকিৎসাই বা হবে কে?কিভাবে?।
আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আলী আকবর বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
আসিফ