নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া থেকে এক কিশোরীকে অপহরণের পর আটকে রেখে ধর্ষণের ঘটনায় জাহেদ হাসান (৩৭) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। রোববার (২৯ জুন) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গণমাধ্যমকর্মীদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন র্যাব-১১, সিপিসি-৩ কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিঠুন কুমার কুণ্ডু।
গ্রেপ্তারকৃত জাহেদ হাসান উপজেলার সোনাদিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চর ফকির গ্রামের জাহেদের বাড়ির জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তার জাহেদ তিন সন্তানের জনক। তিনি ভুক্তভোগী কিশোরীর প্রতিবেশী। ৬ জানুয়ারি সকালে ওই কিশোরী বাড়ির পাশে ধান শুকানোর জন্য মাঠে যায়। ওই সময় জাহেদ কিশোরীর মুখে চেতনানাশক স্প্রে করে অপহরণ করে চট্টগ্রামের কাপ্তাই রাস্তার মাথায় গোলাইপ্পার দোকানের পেছনে নিয়ে যান। সেখানে আটকে রেখে কিশোরীকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করেন। ভিকটিম আসামিকে ধর্ষণে বাধা দিলে আসামি ধারালো ছুরি দিয়ে তার ডান হাতের কনুইয়ে জখম করেন। এভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে মাসের পর মাস ধর্ষণ করতে থাকেন। পরে জাহেদ কিশোরীকে নদীতে এবং ট্রেনের নিচে ফেলে হত্যার চেষ্টা করেন। দীর্ঘদিন ধর্ষণের ফলে ভিকটিম তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে জোরপূর্বক ঔষধ খাইয়ে গর্ভপাতের মাধ্যমে সন্তান নষ্ট করেন। ১৮ জুন দুপুরে ভুক্তভোগীকে তার বাড়ির কাছে ফেলে যান আসামি।
র্যাব-১১, সিপিসি-৩ কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) আরো বলেন, ঘটনার পর ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকে হাতিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। এরপর আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। আদালতের আদেশে হাতিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তিনজনকে আসামি করে মামলা রুজু করা হয়। শনিবার রাতে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির ভক্তপুর ইউনিয়নের সাঁকোতলা বাজারে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রিফাত
