
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখায়োত হোসেন বলেছেন, “সব গার্মেন্টস যদি বন্ধ হতো, তাহলে ১৭ শতাংশ রপ্তানি (এক্সপোর্ট) হতো না। চট্টগ্রাম বন্দর এখনো ব্যস্ত। যে কারখানাগুলো বন্ধ হয়েছে, সেগুলো সাব-কনট্রাক্টে শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করাতো। তাই খুব জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।”
বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে সাভারের বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (বিপিএটিসি)-তে সামরিক বাহিনীর একটি সেমিনারে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, “অনেক শ্রমিক বেকার হয়েছেন ঠিকই, তবে অনেকে আবার নতুন করে অন্যান্য কারখানায় কাজ নিয়েছেন। যেমন—বেক্সিমকো বন্ধ হওয়ার পরও অনেক শ্রমিক চট্টগ্রামসহ অন্যান্য এলাকায় নতুন কর্মসংস্থানে যোগ দিয়েছেন।”
কারখানা বন্ধ হওয়ার পেছনের কারণ প্রসঙ্গে ড. সাখায়োত হোসেন বলেন, “যেসব কারখানা বন্ধ হয়েছে, সেগুলোর বেশির ভাগই বন্ধ হওয়ার মতো অবস্থায় ছিল। তারা ব্যাংক থেকে টাকা নিয়েছে, কিন্তু শ্রমিকদের বেতন দেয়নি, কাজও করায়নি। এখন যদি এসব মালিকের ব্যাংক হিসাব খতিয়ে দেখা হয়, দেখা যাবে দুইশ’ থেকে তিনশ’ কোটি টাকার নিচে ঋণ খেলাপি নেই। অথচ ব্যাংক থেকে তারা নিয়মিত ঋণ পেয়েছে।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “অনেক মালিক টাকা-পয়সা নিয়ে বিদেশে চলে গেছেন। আমি এখন পর্যন্ত এমন কোনো কোম্পানি পাইনি যাদের ঋণ তিনশ’ কোটি টাকার নিচে। রাজনীতি ও ব্যক্তিস্বার্থে ব্যাংক ঋণ নেওয়া এবং ব্যবসা পরিচালনা করলে এর ফলাফল এমনই হবে।”
এ সময় অনুষ্ঠানে সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
সজিব