ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২

বিতর্কিত পুলিশ সদস্য সুকান্ত দাশকে ধরতে কেএমপিকে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম 

আরিফুর রহমান, খুলনা

প্রকাশিত: ১৬:৪২, ২৫ জুন ২০২৫; আপডেট: ১৭:০৫, ২৫ জুন ২০২৫

বিতর্কিত পুলিশ সদস্য সুকান্ত দাশকে ধরতে কেএমপিকে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম 

সুকান্ত দাশকে গ্রেফতার করার দাবীতে আন্দোলন করছেন বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা

পুলিশের উপপরিদর্শক সুকান্ত দাশকে গ্রেফতার করার দাবী জানিয়ে খূলনা মেট্রোপলিটন পুলিশকে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে আন্দোলন করছেন বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা। বুধবার (২৫ জুুন) দুপুর থেকে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের হেড কোয়ার্টারের সামনে ছাত্র—জনতা আন্দোলন শুরু করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন । 

জানা যায়, মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিকেল সোয়া ৪টায় খুলনা নগরীর ইস্টার্ন গেট এলাকায় পুলিশের উপপরিদর্শককে (এসআই) সুকান্ত দাশকে পেয়ে ক্ষুব্ধ জনতা মারধর করে। পরে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু খান জাহান আলী থানা পুলিশ রাতে সুকান্ত দাশকে ছেড়ে দেয়ায় হয়রানির শিকার হওয়া ছাত্র—জনতা আন্দোলনের ডাক দেন। 

খোজ নিয়ে জানা যায়, উপপরিদর্শক সুকান্ত দাশ বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা থানায় কর্মরত রয়েছেন। 

আন্দোলনকারীরা জানান, বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের সময় ও ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সাধারণ মানুষ ও ছাত্রদের ওপর ব্যাপক নির্যাতন চালিয়েছে সুকান্ত দাশ। ভিন্ন মতের রাজনৈতিক দলের কর্মীদের ধরে নিয়ে নির্যাতন করেছেন। পরিবারকে ভয়ভীতি দিয়ে অর্থ আদায় করেছেন। সে আওয়ামীলীগের লাঠিয়াল বাহিনী হয়ে পুলিশের পোষাকে মানুষকে নির্যাতন করেছেন। ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করেন ভুক্তভোগীরা। কিন্তু সুকান্ত এখনো বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। 

উপপরিদর্শক সুকান্ত দাসকে ছেড়ে দেয়ার বিষয়ে খুলনার খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেনের  সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। 

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দার বলেন, উপপরিদর্শক সুকান্ত দাশের বিরুদ্ধে দুটি মামলা রয়েছে। মামলা দুটি তদন্তনাধিন রয়েছে। গতকাল তাকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছিলো। তারপর সে তার কর্মস্থলে চলে যান। আন্দোলনকারীদের বিষয়ে তিনি বলেন, আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি আসলে আমরা কথা বলবো। আমরা তাদের কথা শুনতে আগ্রহী।

সায়মা ইসলাম

আরো পড়ুন  

×