
ছবি: সংগৃহীত।
সিলেটে হেফাজতের বিভক্তি দেখা দেয়ায় দুই পক্ষের পাল্টাপাটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।সোমবার রাতে বৈঠক থেকে একাংশ বেরিয়ে যাওয়ার পর কেন্দ্রীয় নেতারা জেলা ও মহানগর কমিটি ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে অপর পক্ষ মঙ্গলবার পাল্টা কমিটি ঘোষণা করেন।
জমিয়ত, নেজামে ইসলাম, ইসলামী ঐক্যজোট ও ইসলামী মোর্চার নেতাকর্মীরা একাংশে রয়েছেন। অন্য অংশে আছেন খেলাফত মজলিস, জমিয়তের আফিন্দি পক্ষসহ কয়েকটি ইসলামী দল।
কেন্দ্রীয় নেতারা সোমবার রাতে নগরীর শামীমাবাদ এলাকায় বৈঠক থেকে দ্বিতীয় অংশকে নিয়ে কমিটি করেন। সেখানে মহানগর সভাপতি মুস্তাক আহমেদ খান ও সাধারণ সম্পাদক আসজদ আহমেদ ও জেলা কমিটির সভাপতি রেজাউল করিম জালালী ও ইউসুফ আহমেদ কাদিমানি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।
বৈঠকে হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব জুনায়েদ আল হাবিব, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুর রহমান ইসলামাবাদী, অর্থ সম্পাদক মুফতি মুনির হোসাইন কাসেমী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
নতুন কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক চৌধুরী বলেন, ‘উভয়পক্ষকে নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতারা বৈঠক করেন। একপক্ষ চলে যান। পরে উপস্থিত সবার মতামতের ভিত্তিতে জেলা ও নগর কমিটি ঘোষণা করা হয়।’
তবে মঙ্গলবার নগরীর আম্বরখানার একটি হোটেলে অন্য অংশ ৫১ সদস্যের মহানগর কমিটি ঘোষণা করে। এতে প্রিন্সিপাল নাসির উদ্দিনকে সভাপতি, ফয়জুল হক জালালাবাদীকে সাধারণ সম্পাদক ও তোফায়েল আহমদ উসমানীকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়। উপদেষ্টা হিসেবে রাখা হয় নেজামে ইসলামের সভাপতি আব্দুর রকিব ও বিএনপি নেতা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সৈয়দ আলী আহমদকে।
তোফায়েল আহমদ উসমানী বলেন, ‘আমরা আল্লামা শফি ও বাবুনগরী যেমন চাইতেন, তেমন হেফাজত চাই। কিন্তু অন্যরা রাজনৈতিক বিবেচনায় তোষামোদকারী নিয়ে কমিটি করতে চান। এ নিয়েই বিরোধ দেখা দেয়।’ তাঁর অভিযোগ, সমঝোতার বৈঠক থেকে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, ইসলামী ঐক্যজোট, নেজামে ইসলাম ও ইসলামী মোর্চার নেতাকর্মীকে বের করে দেওয়া হয়।
সায়মা ইসলাম