
মেহেরপুরের গাংনীতে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে মায়ের জানাজা ও দাফনে অংশ নিয়েছেন গাংনী উপজেলার ষোলটাকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের অন্যতম নেতা আনোয়ার হোসেন পাশা।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকাল ৮টার দিকে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে পুলিশি পাহারায় সকাল ১০টার সময় মায়ের জানাজায় অংশ নেন তিনি। পরে দাফন শেষে তাকে আবার কারাগারে নেওয়া হয়।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল সোমবার বিকেল ৩টার দিকে চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন পাশার মা জাহানারা বেগম (৭২) কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মায়ের জানাজা ও দাফনে অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে পরিবারের পক্ষ থেকে আনোয়ার হোসেন পাশাকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়ার জন্য আইনজীবীর মাধ্যমে মেহেরপুর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে লিখিত আবেদন করা হয়। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশে মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টার জন্য তাকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়। পরে পুলিশি পাহারায় তাকে গাংনী উপজেলার ষোলটাকা ইউনিয়নের মিনাপাড়া গ্রামের কবরস্থানে নেওয়া হয়। সেখানে মায়ের জানাজা ও দাফন শেষে তাকে পুনরায় কারাগারে নেওয়া হয়।
গাংনী থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ মার্চ গাংনী উপজেলার রাইপুর ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের তিন রাস্তার মোড়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ একটি ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেন। তবে মূলত ওই ইফতার মাহফিলের আড়ালে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল। সে সময় তারা দলীয় ব্যানার হাতে নিয়ে মিছিল বের করেন এবং বিভিন্ন উসকানিমূলক স্লোগান দেন। তারা শেখ হাসিনার দ্রুত দেশে ফেরার দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন।
এ ঘটনায় গাংনী শহরের সিনেমা হলপাড়ার বাসিন্দা মাসুম খন্দকার নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে গত ১৩ এপ্রিল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় যুবলীগ নেতা আনোয়ার পাশাকে ২ নম্বর আসামি এবং আরও ৮২ জনকে আসামি করা হয়। গাংনী থানা পুলিশ মামলাটি বিশেষ ক্ষমতা আইনে রেকর্ড করে (মামলা নম্বর: ১৫)। ওই মামলায় আনোয়ার হোসেন পাশাকে পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালি উপজেলার চরমোন্তাজ গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে মেহেরপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল। পরে ২৩ এপ্রিল তাকে মেহেরপুর আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।
গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বানী ইসরাইল বলেন, “মায়ের জানাজা ও দাফনে অংশ নিতে আদালতের নির্দেশে আসামি আনোয়ার হোসেন পাশা প্যারোলে মুক্তি পান। দাফন শেষে তাকে আবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”
সানজানা