ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২

ফেনীতে করোনা সংক্রামন বাড়তে শুরু করেছে, হাসপাতালে কিট সংকট

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফেনী

প্রকাশিত: ১৩:৪৫, ২৪ জুন ২০২৫

ফেনীতে করোনা সংক্রামন বাড়তে শুরু করেছে, হাসপাতালে কিট সংকট

ছবি: সংগৃহীত

ধেঁয়ে আসছে করোনাভাইরাসের নতুন ভেরিয়েন্ট।ফেনীর আশপাশের জেলাগুলোতে করোনার সংক্রমণ বেডে যাওযার খবর পাওয়া গেলেও ফেনী স্বাস্থ্য বিভাগের নেই কোন পদক্ষেপ। নেই আরটি-পিসিয়ার ল্যাব, নমুনা সংগ্রহের কিট। তবে সংকট সমাধানে মন্ত্রনালয়ে চাহিদা প্রেরণের কথা বলছে স্বাস্থ্য বিভাগ। 


দেশে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা। এরই মধ্যে করোনা উপসর্গ নিয়ে ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে তিনজন ভর্তি হয়েছে। এরমধ্যে একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। বাকী দুজনকে ডাক্তার পরিক্ষা করতে বললেও হাসপাতালে কিট না থাকার কারণে তাদের পরিক্ষা করানো যাচ্ছে না। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন করোনা উপসর্গ নিয়ে পরীক্ষা করতে আসা রোগী ও স্বজনরা। দ্রুত পরীক্ষা ও চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে কতৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করছেন ভুক্তভুগীরা। 


করোনা মোকাবিলায় ২৫০শয্যা হাসপাতালের নতুন ভবনের পাঁচতলা ও ১০ বেড়ের আইসিইউ ইউনিট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে সংকট রয়েছে ডাক্তার, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারি ও করোনা শনাক্তে কিট ও অন্যান্য সরঞ্জামাদির। গতবার করোনা দুযোগের সময ফেনীতে পিসির ল্যাব স্থাপন সহ জনবল নিয়োগের বিষয় স্বাস্থ্য বিভাগের মিটিং এ চুডান্ত সিধান্ত হযে ছিলো।

পরে করোনার প্রকোট কমে যাওযায তা আর বাস্তবায়িতে হযনি। বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য চাহিদাপত্র মন্ত্রণালয়ে দেয়ার কথা জানান ভারপ্রাপ্ত তত্বাবধায়ক ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল   ডা: মো. কামরুজ্জামান। ফেনীর ৬টি হাসপাতাল ও ট্রমা সেন্টারকে ঘোষনা করা হয়েছে ডেডিকেটেড হাসপাতাল। হাসপাতাল গুলোতে প্রস্তুত রাখা আছে সেন্ট্রাল অক্সিজেন ও আইসিইউ ইউনিট।

এ সব হাসপাতাল গুলি গতবার করোনা প্রাদুভাবের সময় করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসাবে চিহ্নিত করে ব্যবহার করা হযে ছিলো। করোনা সংক্রামন থেকে নিরাপদ থাকার জন্য জনসাধারণকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা, মাস্ক ও নিরাপদ দুরত্ব বজায় রাখতে  অনুরোধ করেছেন ফেনীর সিভিল সার্জন ডা: মোহাম্মদ রুবাইয়াত বিন করিম। গত ২৪ ঘন্টায় ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে জ্বর, সর্দি, কাশি, মাথা ব্যাথা নিয়ে ভর্তি হয়েছে ২৩ জন।

আঁখি

×