
ছবিঃ জনকণ্ঠ
পূর্ব বগুড়ার মধ্যে সর্ববৃহৎ সারিয়াকান্দি ডিগ্রি কলেজ সরকারিকরণ থেকে বঞ্চিত হয়েছে সরকারিকরণের হাইকোর্টের রায় থাকলেও গত সরকারের সময় রাজনৈতিক কারণে সরকারিকরণ করা হয়নি। উপজেলাবাসী, শিক্ষক কর্মচারী, অভিভাবকসহ সচেতন মহল কলেজটি অতি দ্রুত সরকারিকরণ করার দাবি জানান।
সারিয়াকান্দি ডিগ্রি কলেজ পূর্ব বগুড়ার মধ্যে ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান । কলেজটি ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ থেকেই সুনাম ছড়িয়ে পরেছে পুরো জেলা জুড়ে।
সারিয়াকান্দির যমুনা নদী ভাঙন কবলিত এলাকা। এলাকাবাসীর দরিদ্র শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য উচ্চ শিক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ উপজেলা ছাড়াও বিভিন্ন জেলা, উপজেলা থেকে শিক্ষার্থীরা এ কলেজে পাঠগ্রহণ করতে আসেন ।
সারিয়াকান্দি ডিগ্রি কলেজে বর্তমান শিক্ষার্থী সংখ্যা ২ হাজার ৭০০ জন। এ কলেজ পর্যাপ্ত ছাত্র-ছাত্রী থাকায় ১২ টি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু করা হয়েছে। যা কলেজের নিজ অর্থায়নে চালু রাখা হয়েছে । এ বছরে এ কলেজের এইচএসসি পরীক্ষায় শতকরা ৪৯.৭০ ভাগ, ডিগ্রি পর্যায়ে শতকরা ৬৫ ভাগ এবং অনার্স পর্যায়ে ৭২.৯২ ভাগ পরিক্ষার্থী কৃতকার্য হয়েছে।
বর্তমান এ কলেজের শিক্ষক সংখ্যা ৯৩ জন, যার মধ্যে এমপিওভুক্ত শিক্ষক রয়েছেন ৪১ জন এবং কর্মচারীর সংখ্যা ২৭ জন। কলেজটি ৮ একর ৪২ শতাংশ জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। যার ৪ তলা ভবনসহ মোট ৬ টি ভবন রয়েছে এবং ৫৪ টির বেশি শ্রণিকক্ষ রয়েছে। রয়েছে ৩ টি অডিটারিয়াম, যার মধ্যে একটি অত্যাধুনিকভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। পুরো কলেজ ক্যাম্পাসটি ৩২ টি সিসি ক্যামেরা দ্বারা সার্বক্ষণিক তদারকিতে রাখা হয়েছে।
সুবিশাল এ কলেজ মাঠে সাবেক রাষ্ট্রপতি মরহুম হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং শেখ হাসিনা একাধিকবার এসেছেন জনসভা করেছেন। এ কলেজ অধ্যয়ন করে অনেক শিক্ষার্থীরা দেশের বিভিন্ন উচ্চ পদসমূহে কর্মরত আছেন । কলেজটি সরকারিকরণের সকল শর্ত পূর্ণ করেছে। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে কলেজটি সরকারি করা হয়নি।
বঞ্চিত কলেজ কর্তৃপক্ষ এটি সরকারিকরণের দাবিতে মহামান্য হাইকোর্টে একটি মামলাও দায়ের করেন। কলেজটি দ্রুত সরকারিকরণ করতে গত ২০১৮ সাল একটি রায়ও প্রদান করেন হাইকোর্ট। তারপরও কলেজটি সরকারিকরণ হয়নি। এমতাবস্থায় কলেজটি সরকারিকরণ করতে জোর দাবি জানিয়েছেন উপজেলার সচেতন নাগরিক সমাজ, শিক্ষক কর্মচারী এবং অভিভাবক।
কলেজটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আনায়ারুল ইসলাম বলেন, একটি প্রতিষ্ঠানকে সরকারিকরণ করতে যে শর্তগুলা প্রয়োজন, তার সবই এ কলেজ গত কয়েকযুগ আগেই অর্জন করেছে। কিন্তু গত সরকারের সময় একটি রাজনৈতিক কারণে এ কলেজটি সরকারিকরণ করা হয়নি। তাই পূর্ব বগুড়ার মধ্যে এ কলেজটি গত সরকারর বৈষম্যের শিকার হয়েছে। কলেজটি দ্রুত সরকারিকরণ করতে কলেজের সকল শিক্ষক কর্মচারী, অভিভাবকদের পক্ষে বর্তমান সরকারের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।
আলীম