
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় রেজিঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরী দেওয়ার কথা বলে ৩৫ চাকরী প্রার্থীর ২ কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা হবার অভিযোগ পাওয়া গেছে নজরুল ইসলাম নামে এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অপর দিকে চাকুরী না পেয়ে অনেকের সংসার ভেঙে যাবার উপক্রম হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) পৌর শহরের একটি ভবনে আত্মসাৎকৃত টাকা ফেরৎ পাওয়া ও প্রতারক নজরুল ইসলামের শাস্তির দাবিতে ভুক্তভোগীদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে মঞ্জুরুল ইসলাম লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পাতাকাটা গ্রামের বাসিন্দা ও গুদিঘাটা সরোজিনী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক নজরুল ইসলাম ২০২০ সাল থেকে মঠবাড়িয়া উপজেলায় “গুদিঘাটা সরোজিনী” ”বড় মাছুয়া খেজুরবাড়িয়া” “ছোট মাছুয়া” “ফুলঝুড়ী সৈয়দ মেমোরিয়াল” ও নলী সরদারপাড়া বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। ওই ৫টি বিদ্যালয়ের নিজেকে সভাপতি বলে প্রচার চালান। বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। এর পর বিভিন্ন প্রলোভনে নানা কৌশলে ৩৫ জনের নিকট থেকে ২ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। গত ৫ আগস্টের পরপরই ওই প্রতারক শিক্ষক পরিবারের সকল সদস্যদের নিয়ে আত্মগোপনে গেলে প্রতারণার বিষয়টি ভুক্তভোগীদের বোধদ্বয় হয়।
এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বক্তব্য রাখেন, ভুক্তভোগী মিসেস সালমা সুলতানা, সাইদুর রহমান, মো. হাসান, শিমু আক্তার, অন্তর কুমার, মুন্নি আক্তার, মো. মামুন, মোসা. সাবিনা ইয়াসমিন, মো. বাবু, মোসা. হাসিনা বেগম, সাইদুল ইসলাম, খোকন মল্লিক ও অভিভাবক মো. শহিদুল ইসলাম।
শিমু আক্তার ও মোসা. সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, চাকুরীর জন্য টাকা দেয়ার কারনে স্বামীর সাথে সাংসারিক অশান্তি বিরাজ করছে।
অভিযুক্ত অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নজরুল ইসলাম ৫ আগস্টের পর স্ব-পরিবারে পলাতক থাকায় কারো বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল কাইয়ূম বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Jahan