
ছবি: জনকন্ঠ
পাবনার বেড়া উপজেলার বড়শিলা গ্রাম থেকে নলভাঙ্গা-খাকছাড়া-চাকলা গ্রামে যাতায়াতের জন্য অল্প কয়েক বছর আগে কোটি টাকা ব্যয়ে একটি সড়ক নির্মাণ করা হয়। কৃষি প্রধান এলাকায় ফসলি জমির কুল ঘেঁষে তৈরি করা এ সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার অভাবে বেহাল দশা।
এ সড়কটি নির্মাণের পরে বেড়া উপজেলা সদরের সাথে চাকলা ও কৈতলা ইউনিয়নের নলভাঙ্গা,খাকছাড়া, চাকলা,জয়নগর,দমদমাসহ অন্তত ১০টি গ্রামের মানুষের যাতায়াত সহজ হয়। মূলত কৃষি পণ্য হাট-বাজারে ক্রয়-বিক্রয় মানুষের যাতায়াত সুবিধার জন্য সড়কটি নির্মাণ করে এলজিইডি।
বর্তমানে সড়কের কিছু অংশ ভেঙেচুরে এমন বেহাল হয়েছে যে হাঁটাও কষ্টকর। দুই পাশে ঝোপঝাড় বেড়ে উঠেছে। সড়কটি এখন অনেকটাই পরিত্যক্ত,আগের মতো গাড়ি চলাচল করে না। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়,সড়কের পিচঢালাই উঠে গেছে। দুই পাশে বেড়ে উঠেছে ঝোপঝাড়। সংস্কারের অভাবে বড়শিলা থেকে নলভাঙ্গা হয়ে খাকছাড়া পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার সড়ক এখন পরিত্যক্ত।
প্রায় এক যুগ আগে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এ সড়ক নির্মাণ করা হয়। এ সড়কে ঝোপঝাড় পোকামাকড় ও সাপের ভয়ে রাতে একেবারেই চলাচল বন্ধ। সারা দিন দুই একটা গাড়ি চলাচল করে। আরও জানা যায়,সড়কটি চালু হওয়ার পর বড়শিলা হাটুরিয়া,জগন্নাথপুর নলভাঙ্গাসহ কয়েকটি গ্রামের অনেক শিক্ষার্থী খাকছাড়া বঙ্গবন্ধু আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ভর্তি হয়ে পড়া লেখা শুরু করেন। ব্যস্ত সড়কটিতে হেঁটে আসারও উপায় নেই। ভুতুড়ে পরিবেশের সৃষ্টি হওয়ায় বড়শিলা,হাটুরিয়া,জগন্নাথপুর এলাকার কেউই এ উচ্চ বিদ্যালয়ে আসছে না। ফলে স্কুলের শিক্ষার্থী কমে গেছে।
ঐ এলাকার স্থানীয় কৃষক ও পথচারীরা জানান,ফসলের জমির পাশ দিয়ে সড়কটি হওয়ায় জমি থেকে ফসল তুলে সরাসরি সি এন্ড বির হাটসহ আশপাশের হাটে নিয়ে বিক্রি করা যেতো সহজে। কয়েকবছর মেরামত না করার কারণে এ রাস্তাটি আর ব্যবহার করা হয় না। ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার অতিরিক্ত ঘুরে যাতায়াত করা লাগছে। বড়শিলা,নলভাঙ্গা,খাকছাড়া কয়েক গ্রামে সবার আত্মীয় স্বজনরা বসবাস করে। রাস্তা খারাপ পায়ে হেঁটে আসতে হয় জন্য আগে মতো আত্মীয় স্বজনরা আসে না।
সমাজ সচেতন ব্যক্তিদের দাবি দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কটি সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করা হোক। কবে নাগাদ সড়কটি সংস্কার করা হয় এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কারো কাছে তেমন কোন উত্তর পাওয়া যায়নি।
Mily