
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে জমি বিক্রির টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে অন্তঃসত্ত্বা ছোট বোনকে হত্যার অভিযোগে দুই নারীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার দুপুরে র্যাব-১১, সিপিসি-৩–এর কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিঠুন কুমার কুণ্ডু গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান। এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুকরাইল মোড় এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— সুবর্ণচরের চরবাটা ইউনিয়নের পূর্ব চরমজিদি গ্রামের হোসেনের স্ত্রী মাকছুদা আক্তার মালা (৩২) ও কেরামত আলীর মেয়ে জাহানারা বেগম (৫৫)।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভিকটিম হালিমা খাতুন এজাহারভুক্ত ১ নম্বর আসামি হোসেনের ছোট বোন। তিনি পৈতৃক সম্পত্তির অংশ নিজের ভাইয়ের কাছ থেকে লিখিত স্ট্যাম্পে ক্রয় করে ধাপে ধাপে টাকা পরিশোধ করছিলেন। ৫ মে বিকেলে সেই স্ট্যাম্প ফেরত নিতে হোসেনের ভাড়া বাসায় গেলে তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।
র্যাব জানায়, হোসেন, জাহানারা ও মালা মিলে ভিকটিমকে ইট দিয়ে মাথা, চোখ, নাক ও গালে আঘাত করেন। তাঁর চিৎকারে আশপাশের লোকজন উদ্ধার করে প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯ মে রাতে ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় গর্ভস্থ শিশুসহ হালিমা খাতুন মারা যান।
র্যাব কর্মকর্তা মিঠুন কুমার কুণ্ডু আরও বলেন, ঘটনার পর ভিকটিমের পরিবার তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা শুরু থেকেই পলাতক ছিলেন। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নিতে আসামিদের সাতক্ষীরা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
সজিব