
ছবি: দৈনিক জনকণ্ঠ।
যশোরের ঝিকরগাছায় ঈদের দিনে নিখোঁজ শিশু সোহানার (১০) হত্যা রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। আপন ফুফাতো ভাই তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে মৃতদেহ পুকুরে ফেলে দেয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত ফুফাতো ভাই নাজমুস সাকিব নয়ন (১৯) ঝিকরগাছা উপজেলার হাড়িয়া গ্রামের ইলিয়াস হোসেনের ছেলে ও মণিরামপুরের মাসনা কওমি মাদরাসার ছাত্র।
হত্যাকাণ্ডের শিকার সোহানা (১০) উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের আব্দুল জলিলের মেয়ে এবং বায়সা-চাঁদপুর মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। নয়নকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করা হয়। শুক্রবার বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে জেলা পুলিশ মিডিয়া সেল। আর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঝিকরগাছা থানার ওসি নূর মোহাম্মদ গাজী।
জেলা পুলিশের মিডিয়া সেল জানিয়েছে, ঈদের দিন সোহানা তার ফুফুর বাড়ি বেড়াতে যায়। সেখানে তার ফুফাতো বোন তন্নীর সাথে গল্প করছিলো। বাড়িতে অন্য কেউ ছিলনা। এমন সময় তন্নীর শরীর খারাপ লাগলে ঘরে যেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। আর বারান্দায় দোলনায় দোল খাচ্ছিলো সোহানা। এসময় বাড়িতে আসে তার ফুফাতো ভাই নয়ন। এসে দেখে তন্নী ঘুমাচ্ছে। এই সুযোগে নয়ন সোহানাকে জোরকরে নিজ ঘরে নিয়ে যায় এবং মুখে রুমাল দিয়ে চেপে ধরে ধর্ষণ করে। পরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মৃতদেহ পাশের পুকুরে ফেলে দেয়। পরে নয়ন সোহানা হারিয়ে গেছে বলে নাটক সাজায়। পরের দিন পুকুর থেকে সোহানার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এঘটনায় ঝিকরগাছা থানায় অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন সোহানার বাবা আব্দুল জলিল। মামলাটির তদন্তের একপর্যায়ে বুধবার রাতে নয়নকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। এরপর জিজ্ঞাসাবাদে সে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেয়।
মিরাজ খান