গাইবান্ধা জেলাজুড়ে বিরাজ করছে প্রচণ্ড দাবদাহ। তাপমাত্রা প্রতিদিনই ছুঁই ছুঁই করছে ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমন তীব্র গরমে জনজীবন যখন বিপর্যস্ত, তখন তার ওপর ঘন ঘন লোডশেডিং যেন ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, প্রতিদিন প্রায় ৫-৬ বার বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে, কখনও কখনও একটানা ২-৩ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। এতে বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ এবং রোগীরা চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন। ছোট ছোট বাচ্চারা ঠিকমতো ঘুমাতে পারছে না, স্কুলগামী শিক্ষার্থীরাও পড়ালেখায় মনোযোগ দিতে পারছে না।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “এই গরমে ফ্যান ছাড়া থাকা যায় না। কিন্তু লোডশেডিংয়ের কারণে আমরা ঘরে থাকতেও পারছি না। সরকারি অফিস বা হাসপাতালেও একই অবস্থা।”
বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুতের সরবরাহ কম থাকায় নির্ধারিতভাবে বিভিন্ন এলাকায় লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। তবে তাঁরা পরিস্থিতি শিগগিরই স্বাভাবিক করার আশ্বাস দিয়েছেন।
জরুরি পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্যও। বিশেষ করে ঠান্ডা পানীয়, আইসক্রিম এবং রেফ্রিজারেটর-নির্ভর ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে বড় ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
জরুরি ভিত্তিতে সঠিক পরিকল্পনা এবং পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত না করা গেলে গাইবান্ধার জনগণের এই দুর্ভোগ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল।
রাজু
