
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে অসহায় খোদেজার ফাঁকা দোকান মালামালে পরিপূর্ণ করে দিলো একটি মানবিক সংগঠন। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার ধানগড়া ইউনিয়নের ভিকমপুর এলাকার বাসিন্দা খোদেজা বেগম (৫৫) এর পণ্য শুণ্য দোকানে মালামাল তুলে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী কাজল দাস বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মালশূন্য পড়ে থাকা দোকানটি যেন ছিল শুধুই বোঝার মতো এক অস্তিত্ব। অসহায় এই মহিলা বেচেঁ থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন ছোট্ট একটি দোকানের ওপর ভর করে। কিন্তু অর্থাভাবে সেই দোকানেও ছিল না কোনো মালামাল। একসময় দোকানের তাকগুলো হয়ে পড়ে ফাঁকা, দোকানটি হয়ে পড়ে অচল। পরে তার দোকান নিয়ে ফেসবুকে পোষ্ট করলে সিরাজগঞ্জের 'সুখপাখি আলোর জন্য যাকাত তহবিল' সংগঠনের অর্থায়নে দোকানটি মালে পরিপূর্ণ করে দেওয়া হয়।
খোদেজা বেগম জানান, ২৫ বছর পূর্বে এক মাসের সন্তানকে ফেলে রেখে তাকে ত্যাগ করে অন্যত্র চলে যান তার স্বামী। পরে মানুষের বাড়িতে কাজ করে সন্তানটি বড় করে তোলেন। কিন্তু সেই সন্তানটি কিশোর বয়সে সংসারের হাল ধরার জন্য চাউলের মিলে কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎ শকে একটি হাত পঙ্গু হয়ে আজ প্রতিবন্ধী। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় একটি টং দোকান গড়ে তোলেন। অনেক দিন দোকানে কিছুই ছিল না। এখন, আল্লাহর রহমতে আবার সব আছে। দোকানে এখন রয়েছে ডাল-তেল থেকে শুরু করে চিনি, বিস্কুট, সাবান, মশলা, কোমল পানীয় এমনকি শিশুদের জন্য খাদ্যসামগ্রী ও চকলেট পর্যন্ত। যারা আমার দোকানে মাল তুলে দিলো তাদের জন্য প্রতিদিন নামাজ পড়ে দোয়া করমু
এলাকাবাসী জানান, এই ঘটনাটি আবারও প্রমাণ করে দিল, সামাজিক সহায়তা আর একটুখানি সদিচ্ছা কোনো মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোতে ফিরিয়ে আনতে যথেষ্ট। খোদেজার দোকান এখন শুধু ব্যবসার কেন্দ্র নয় বরং একটি প্রেরণার উৎস।
আঁখি