সংগৃহীত
বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে কারা স্বীকৃত হবেন, সে বিষয়ে নতুন করে সংজ্ঞা নির্ধারণ করে একটি সংশোধিত অধ্যাদেশ জারি করেছে সরকার। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন স্বাক্ষরিত এ অধ্যাদেশটি মঙ্গলবার (৪ জুন) মধ্যরাতে জারি করা হয়। এরপর থেকেই বিষয়টি ঘিরে দেশজুড়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
কয়েকটি গণমাধ্যমের খবরে দাবি করা হয়েছে, নতুন এই অধ্যাদেশের ফলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাজউদ্দীন আহমদসহ প্রায় ৪০০ নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল হয়ে গেছে। যদিও সরকার এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।
সংশোধিত জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) অধ্যাদেশে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সহযোগী মুক্তিযোদ্ধার পৃথক সংজ্ঞা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার (মুজিবনগর সরকার) এবং তাদের স্বীকৃত বাহিনীগুলোতে যারা সরাসরি অংশ নিয়েছেন, তারা বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হবেন।
অন্যদিকে, সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গণ্য হবেন মুজিবনগর সরকারের অধীন কর্মকর্তা-কর্মচারী, দূত, এবং ওই সরকারের নিযুক্ত ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য সহায়ক কর্মীরা।
মূলত এই নতুন সংজ্ঞার ভাষা ও ব্যাখ্যা ঘিরেই বিতর্কের সূত্রপাত। যদিও সরকার বলছে, কাউকে মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়নি, বরং সংজ্ঞার দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট করা হয়েছে।
হ্যাপী
