
রংপুর অঞ্চলের বৃহত্তম সুপারি হাট বসে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নে
কুড়িগ্রামে কাঁঠালবাড়ির সুপারির হাট।রংপুর অঞ্চলের একটি বৃহত্তম হাট। প্রতি হাটেই এখানে প্রায় কোটি টাকার সুপারি বেচাকেনা হয়। জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এখানে সুপারি নিয়ে আসে সুপারি চাষীরা। সারা দেশের সুপারি ব্যবসায়ীরা এই হাট থেকে সুপারি নিয়ে যায়। শুক্রবার ও সোমবার সপ্তাহে দুই-দিন এই হাট বসে। কুড়িগ্রাম জেলার প্রধান অথকারী ফসলের মধ্যে সুপারী অন্যতম। সারা জেলায় কয়েক শত সুপারি বাগান রয়েছে। প্রতি বছর কয়েক লক্ষ মেট্রিক টন সুপারি উৎপাদ হয়। যা জেলার চাহিদা মিটিয়ে চলে যায় সারা দেশে।
রংপুর অঞ্চলের বৃহত্তম সুপারি হাট বসে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নে। শুক্রবার সোমবার ভোর থেকে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে হাটে সুপারি আসতে শুরু করে। সকাল ৮টার মধ্যে সুপারির হাটে বেচাকেনা শুরু হয়। সময় যতই গড়াতে থাকে মানুষ আর সুপারি একাকার হয়ে যায়। চারিদিকে হলুদের সমারোহ। বাজারে বিক্রেতা ও ক্রেতার সমাগমও চোখে পড়ার মতো। বিভিন্ন এলাকা থেকে, মটোর সাইকেল, ভ্যান, নছিমন, বাইসাইকেলে করে বস্তায় বা ঝাঁকা ভর্তি সুপারি নিয়ে হাটে আসেন গৃহস্থ ও ব্যবসায়ীরা। চলে দাম দর।লালমনিরহাট, রংপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া,খুলনা,সিলেট,চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ দেশের প্রায় ২০টি জেলার ব্যবসায়ীরা সুপারি নিয়ে যায় এই হাট থেকে। কৃষি বিভাগের সূত্রে জানা গেছে চলতি বছর জেলায় ৩হাজার ৭শ হেক্টর সুপারি চাষ হয়েছে বিভিন্ন বাগানে। এতে সুপারি উৎপাদন হয়েছে ২৫ হাজার ৬০৫ টন। জেলার ৯ উপজেলার মধ্যে সব থেকে বেশি সুপারি উৎপাদিত হয় রাজারহাট উপজেলায়।
কাঁঠালবাড়ির বিক্রেতা আবদুর রহিম ও জয়নাল আবেদিন জানান সুপারির বাজার সকাল বেলা কম থাকে কিন্তু সময় বাড়ার সাথে সাথে বাহিরের ব্যবসায়ীরা আসার সাথে সাথে এর বাজার কয়েকগুন বেড়ে যায়।
সুপারির হাটে আসা স্থানীয় ক্রেতা মনির হোসেন ও আবদুল আউয়াল জানান সুপারি দাম অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার অনেক বেশী। গতবার এ সময় ছিল প্রতি মনের দাম ৩ থেকে ৪শ টাকা। সেখানে এবার ৫ থেকে ৬শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যদি বাজার এমন থাকে তাহলে কৃষকরা লাভবান হবে।
বগুড়ার ব্যবসায়ী আকবর আলী ও রহিম শেখ জানান আমার দোকান বগুড়ার কোটালী বাজার। গত বছর এই হাটে সুপারির দাম কম ছিল। সুপারি কিনে নেয়ার পরে লাভ করেছি। এ বছর লাভ করতে পারছি না। সুপারির দাম বেশী।
কাঁঠালবাড়ি সুপারির হাটের ইজারাদার জানান আমি সুপারিরহাট ডেকে নিয়েছি। নেয়ার পর থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সুপারির ব্যবসায়ীরা প্রচুর পরিমাণে। এখানে কোন সমস্যা নেই। সুপারির আমদানি অনেক ভালো।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাহিদা আফরিন জানান কুড়িগ্রাম জেলার জন্য সুপারি একটি লাভজনক ও সম্ভাবনাময় ফসল। রোগ বালাই কম হয় এবং পরিচর্যা কম লাগে। আন্ত ফসল হিসাবে চুই ঝাল, পান,লটকন সহ অন্যান্য ফসল চাষাবাদ করা যায় । এতে কৃষক অনেক লাভবান হয়।
সাব্বির