
স্বপ্ন ছিলো ভর্তি হওয়ার, কিন্তু বাস্তবে হলো পানিতে দাঁড়িয়ে যুদ্ধ। কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় দুর্ভোগের নতুন চিত্র সৃষ্টি হয়েছে। কলেজ ক্যাম্পাসেই সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। হাঁটুপানির মধ্যে প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছে নানা দুর্ভোগ সহ্য করে।
শনিবার সরজমিনে দেখা যায়, কলা ভবন, বিজ্ঞান ভবন, মিলেনিয়াম ভবন, অর্থনীতি ভবনের নিচতলার কক্ষগুলো হাঁটু পানিতে ডুবে আছে। জলমগ্ন কক্ষেই শিক্ষার্থীরা বসে পরীক্ষা দিচ্ছে। কোমর পর্যন্ত ভেজা অবস্থায় কেউ বসে আছেন, কেউ পানি সরিয়ে আসন খুঁজছেন। একজন শিক্ষক পানি ঠেলে এসে বিতরণ করছেন উত্তরপত্র। তারপর শুরু হয় ‘পরীক্ষা’। তবে সেটি শুধুই শিক্ষাগত নয়, বরং ধৈর্য্য, সাহস ও সহনশীলতারও।
লাকসাম থেকে আসা পরীক্ষার্থী আছমা আক্তার বলেন, ‘ভিক্টোরিয়ায় ভর্তি হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে এসেছি। কিন্তু যেখানে পরীক্ষা দিলাম, সেখানে রুমের ভেতরেই হাঁটু সমান পানি। এভাবে কীভাবে মনোযোগ দিয়ে পরীক্ষা দিবো?’
ভুশ্চি বাজারের সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘আমার শরীরে পানির এলার্জি আছে। পরীক্ষায় ভালো করতাম, কিন্তু এ অবস্থায় ঠিকভাবে পরীক্ষা দিতে পারিনি।’
চৌদ্দগ্রামের সৌরভ হতাশ হয়ে বললেন, ‘কলেজে পানি থাকবে, এটা আমরা জানতাম না। কক্ষের ভেতরেও পানি আর পোকামাকড় ছিলো। পুরো সময়টা মনোযোগ নষ্ট হয়ে গেছে।’
পরীক্ষার্থী কন্যাকে নিয়ে আসা নাঙ্গলকোটের কলেজ শিক্ষক আব্দুল জব্বার বলেন, ‘মেয়ের কক্ষে হাঁটুপানি ছিলো। পরীক্ষা দিয়ে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে, এখন তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে।’
এ বিষয়ে কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মো: আবুল বাশার ভূঁঞা বলেন, ‘জলাবদ্ধতা নিরসনে একটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা হয়েছে। আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
আঁখি