ছবি: জনকণ্ঠ
রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা, মহান স্বাধীনতার ঘোষক, নির্ভীক ও নির্মোহ রাষ্ট্রনায়ক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)'র প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম-এর ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির তিন দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ প্রথম দিনে রাঙ্গুনিয়াস্থ শহীদ জিয়ার মাজারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকালে শহীদ জিয়ার মাজারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়। এই শ্রদ্ধা নিবেদন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহ, সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য শামসুল আলম, নগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম.এ. আজিজ, এস.এম. সাইফুল আলম, কাজী বেলাল উদ্দিন, হারুন জামান, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, শওকত আজম খাজা, ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, শিহাব উদ্দিন মুবিন, মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু, নগর বিএনপির সদস্য ইসকান্দর মির্জা, কামরুল ইসলাম, জাফর আহম্মদ, হানিফ সওদাগর, মোহাম্মদ আজম, ইসমাইল বালি সহ আরও অনেক নেতৃবৃন্দ।
শ্রদ্ধা জানানোর সময় নেতৃবৃন্দ বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান ছিলেন এক অনন্য রাষ্ট্রনায়ক যিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় রণাঙ্গনে অস্ত্র হাতে নিয়ে যুদ্ধ করেছেন এবং স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে বাঙালি জাতিকে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। তাঁর আদর্শ ছিল দেশপ্রেম, সততা, আত্মনিবেদন ও আত্মমর্যাদাবোধে ভরপুর এক দেশগঠনের দর্শন।
রাষ্ট্র পরিচালনায় তিনি যে শৃঙ্খলা, সততা, কর্মনিষ্ঠা ও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা দেখিয়েছেন, তা আজও জাতীয়তাবাদী শক্তির জন্য প্রেরণার উৎস। বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, অর্থনৈতিক পুনর্গঠন, কৃষি ও শিল্পে অগ্রগতি, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের মর্যাদা বৃদ্ধি সবখানেই ছিল তাঁর সুদৃঢ় নেতৃত্বের ছাপ।
জাতীয় ইতিহাসের এই মহাব্যক্তিত্বকে যথাযথভাবে স্মরণ করা, তাঁর আত্মত্যাগকে সম্মান জানানো এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে তাঁর আদর্শে উদ্বুদ্ধ করাই এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য। আগামী দুই দিনব্যাপী অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ৩০ মে বাদ জুমা নগরীর বিভিন্ন মসজিদে দোয়া মাহফিল, আলোচনা সভা এবং ৩১ মে ওয়ার্ডভিত্তিক গরিব ও অসহায় ছাত্রদের মাঝে খাবার বিতরণ।
সকলকে আহ্বান জানানো হচ্ছে, শহীদ জিয়ার আদর্শে বিশ্বাসী জাতীয়তাবাদী শক্তির নেতাকর্মী, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীসহ সর্বস্তরের জনগণকে পরবর্তী কর্মসূচিগুলোতে অংশগ্রহণ করে তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং জাতীয় রাজনীতিতে গৌরবময় ভূমিকা পালনকারী এই মহান নেতার চেতনাকে ছড়িয়ে দিতে সক্রিয় ভূমিকা রাখার জন্য।
শহীদ
