
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। যাঁর প্রভাবে উপকূলীয় জেলা ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর জোয়ারের পানি বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। তলিয়ে গেছে জেলার বেশকিছু নিচু এলাকাসহ বহু গ্রাম। এছাড়াও টানা বৃষ্টিপাতে জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) গেল ২৪ ঘন্টায় জেলায় ৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভোলা আবহাওয়া দপ্তর।
সকাল থেকে ভারী বৃষ্টিপাত ও জোয়ারের পানিতে ভোলার সদর উপজেলার রাজাপুর, পশ্চিম ইলিশা, পূর্ব ইলিশা, কাঁচিয়া ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম। দৌলতখান উপজেলার মদনপুর, চরপাতা ইউনিয়ন বেড়িবাঁধের বাহিরের বিশাল অংশ। মনপুরা উপজেলার চরকুকরি-মুকরি, ঢালচর, চরপাতিলা এবং তজুমুদ্দিন উপজেলার চর জহিরউদ্দিনের বেশকিছু এলাকা পানিতে প্লাবিত হয়েছে। তীব্র বাতাস আর উত্তাল মেঘনার জোয়ারের পানিতে হুমকির মূখে রয়েছে জেলার বেশ কয়েকটি শহররক্ষা বাঁধ। বাঁধের দুর্বল অবস্থার জন্য ওইসব এলাকার বাসিন্দারা নিরাপদ থাকার জন্য তাদের পরিবারপরিজন ও গবাদি পশুসহ ছুঁটছেন আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে।
এছাড়াও সকাল থেকে জেলার ৫টি নৌ-রুটে লঞ্চ ও ২টি রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। জেলেরা তাদের মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার নিয়ে নিরাপদে চলে এসেছেন। এদিকে, সকাল থেকে দুর্গমঞ্চলের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে আসার জন্য কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশসহ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।
ভোলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আজাদ জাহান জানান, ঘূর্ণিঝড়কে ঘিরে ভোলায় সকল ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলায় পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্র, খাদ্যসামগ্রী, মেডিকেল টিম এবং স্বেচ্ছাসেবীদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
রিফাত