ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ৩০ মে ২০২৫, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

নোবিপ্রবিতে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে গবেষণা মেলা

মোস্তাকিম সাদিক, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, নোবিপ্রবি

প্রকাশিত: ২২:২৩, ২৯ মে ২০২৫; আপডেট: ২২:২৫, ২৯ মে ২০২৫

নোবিপ্রবিতে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে গবেষণা মেলা

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে গবেষণা মেলা। আগামী ২২ জুন বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে এই মেলার আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা সেল।

প্রথমবারের মতো এমন আয়োজনে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের উদ্ভাবনী কর্মকাণ্ডকে আরও উৎসাহিত করার লক্ষ্য নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। দিনব্যাপী চলা এ মেলায় থাকবে গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন, স্টল প্রদর্শনী, পুরস্কার বিতরণসহ নানা আয়োজন।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানায়, গবেষণা মেলার মাধ্যমে একটি গবেষণাভিত্তিক পরিবেশ তৈরি হবে। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী চিন্তা ও গবেষণায় যুক্ত হওয়ার আগ্রহও বাড়বে।

মেলায় থাকছে যেসব আয়োজন:

 বিভাগীয় স্টল প্রদর্শনী: বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৩টি বিভাগ অংশগ্রহণ করবে। প্রতিটি বিভাগ একটি করে স্টল বসাবে, যেখানে তাদের গবেষণা ও উদ্ভাবনের খুঁটিনাটি তুলে ধরা হবে। সেরা স্টলকে দেওয়া হবে পুরস্কার।

 বেস্ট রিসার্চার অ্যাওয়ার্ড: ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে গবেষণায় উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য শিক্ষক পর্যায়ে ১৬ জনকে দেওয়া হবে এ সম্মাননা।

 ডিনস অ্যাওয়ার্ড: প্রতি অনুষদ থেকে মেধাবী তিনজন শিক্ষার্থী পাবেন এই পুরস্কার। ন্যূনতম সিজিপিএ ধরা হয়েছে ৩.৭০, তবে কলা ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ক্ষেত্রে তা ৩.৬০।

ভাইস-চ্যান্সেলর ও বেস্ট ওমেন রিসার্চার অ্যাওয়ার্ড: গবেষণায় বিশেষ অবদান রাখায় দেওয়া হবে ভাইস-চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড এবং নারী গবেষকদের উৎসাহ দিতে থাকছে বেস্ট ওমেন রিসার্চার অ্যাওয়ার্ড।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সাকিব বলেন, “এই আয়োজন আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস। গবেষণায় যুক্ত হতে এমন উদ্যোগ অনেক সহায়ক।”

একইভাবে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তানভীর হাসান বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে এমন আয়োজন শিক্ষার্থীদের গবেষণামুখী করে তুলবে। আমাদের একাডেমিক উন্নয়নের পাশাপাশি গবেষণার ক্ষেত্রেও এটি দারুণ অবদান রাখবে।”

গবেষণা সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, “গবেষণা কার্যক্রমে গতিশীলতা আনার জন্য এই উদ্যোগ। এ ধরনের আয়োজন প্রতিবছর হলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আরও বেশি করে গবেষণায় আগ্রহী হবেন।”

এছাড়া গবেষণা মেলায় অংশগ্রহণকারী সবার জন্য থাকছে বিশেষ সার্টিফিকেট। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আশা করছে, এ আয়োজন গবেষণার নতুন দিগন্ত উন্মোচনে বড় ভূমিকা রাখবে।

মিমিয়া

×