
বিক্ষোভ সমাবেশ
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের প্রতিবাদে বিক্ষোভ, মানববন্ধন, মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব কর্মসূচিতে বক্তারা সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের।
খুলনা
বাড়িঘরে ভাঙচুর, মন্দিরের জায়গা দখল এবং অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও সনাতনী মাবোন, ভাইদের নির্যাতন, হত্যা ও মাতৃভূমি ত্যাগের হুমকির প্রতিবাদে খুলনায় মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার বিকেলে নগরীর শিববাড়ী মোড়ে সচেতন সনাতনী ছাত্র ও নাগরিক সমাজের আয়োজনে এই মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে হিন্দু সম্প্রদায়সহ অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠন ও মন্দির কমিটিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজারো হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করে। বিভিন্ন মন্দির ও সংগঠন ভিত্তিক মানুষ শোভাযাত্রা করে সমাবেশে যোগ দেন। এ সময় বক্তারা বলেন, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে এক শ্রেণির লোক নিজেদের ফায়দা হাসিল করার জন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালাচ্ছে। এই সমস্ত সন্ত্রাসীকে চিহ্নিত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার ও আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত করতে হবে।
জামালপুর
রবিবার দুপুরে শহরের দয়াময়ী মোড়ে সনাতনী সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ কর্মসূচির আয়োজন করে। কর্মসূচির শুরুতে দয়াময়ী মোড়ে মানববন্ধন করে হিন্দু ধর্মাবলম্বী সাধারণ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। পরে সড়ক অবরোধ করে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে তারা। ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নীলা সরকার, দুর্জয়, অন্তিম গৌড় বসাক, সুচিতা দত্ত, দ্বীপসহ অন্যান্য সাধারণ শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন।
নরসিংদী
অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, নির্যাতন-নিপীড়নের প্রতিবাদে রবিবার বিকেলে নরসিংদী পৌরসভার সামনের সড়কে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এতে রায়পুরা, মনোহরদী, শিবপুর, বেলাব, পলাশ ও মাধবদী এলাকা থেকে হাজার হাজার হিন্দু নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করে। এ সময় নরসিংদীর হেমেন্দ্র সাহার মোড় থেকে নরসিংদী পৌরসভা পর্যন্ত সমগ্র রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিক্ষোভ সমাবেশে আগতরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
‘যারা বলে বাংলা ছাড়, দেশ কি তাদের বাপ-দাদার’, ‘হিন্দু-মুসলিম ভাই ভাই, কথায় না কাজে চাই’, ‘আমার মাটি আমার মা দেশ ছেড়ে যাব না’, ‘দেশ যদি হয় স্বাধীন, হিন্দুরা কেন পরাধীন’, ‘এ দেশে জন্ম আমার, দেশটা কারও বাপের না’, ‘আমার ভাই মরল কেন, রক্তে আগুন লেগেছে হিন্দু জেগেছে’, প্রশাসন জবাব চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে।
অনিল ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, অহিভূষণ চক্রবর্তী, তারাপদ সাহা, রঞ্জন সাহা, শ্যামল সাহা, সাংবাদিক হলধর দাস, সাংবাদিক মাখন দাস, স্বপন বিশ্বাস, দীপক বর্মন প্রিন্স, বিজয় রায়, বিপ্লব চক্রবর্তী, অপু সাহা, সুব্রত কুমার দাস, তপন কুমার আচার্য, উত্তম মোদক, বিনয় সাহা প্রমুখ।
কুড়িগ্রাম
রবিবার দুপুরে বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও সচেতন হিন্দু সমাজের ব্যানারে জেলা শহরের শাপলা চত্বরে প্রতিবাদী কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় জেলার কয়েক শতহিন্দু ধর্মাবলম্বী এতে অংশ নেন।
সমাবেশ শুরুর আগে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি শহর প্রদিক্ষণ শেষে কুড়িগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় মিলিত হয়ে আবারও সমাবেশ করেন।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রবি বোস, সাধারণ সম্পাদক দুলাল চন্দ্র, জেলা হিন্দু, বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি ছানালাল বকসী, সাধারণ সম্পাদক অলক সরকার, সাংবাদিক শ্যামল ভৌমিক প্রমুখ।
মির্জাপুর, টাঙ্গাইল
রবিবার বিকেলে সদরের বাইমহাটি কালী মন্দির থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এই সমাবেশে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন এবং মির্জাপুর পৌরসভা থেকে দুই সহস্রাধিক সনাতনী এই বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেন।
সমাবেশে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ মির্জাপুর উপজেলা শাখার সভাপতি উত্তম কুমার সেন লালু, নিরঞ্জন পাল, স্বপন ম-ল, বিকাশ গোস্বামী প্রমুখ।
মাগুরা
রবিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মাগুরা প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কে সাধারন সনাতনী শিক্ষার্থীবৃন্দের ব্যনারে মানববন্ধন, সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধন শেষে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে বিপুল সংখ্যক হিন্দু সম্প্রদায়ের নারী পুরুষ ও সাধারণ শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন। মিছিলকারীরা সংখ্যলঘুদের বাড়ি ঘরে হামলা লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদ ও দোষীদের শাস্তির দাবি জানান।
বগুড়া
নৈরাজ্যের অবসানের দাবিতে রবিবার বগুড়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান এবং মানববন্ধন কর্মসূচি পালন হয়েছে। পূজা উদ্যাপন পরিষদ বগুড়া জেলা ও পৌর শাখা, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এবং জাতীয় হিন্দু মহাজোট এই কর্মসূচির আয়োজন করে। এ সময় সাতমাথার সব সড়ক বন্ধ হয়ে যায়। দুপুর বারোটা থেকে প্রায় ২ ঘণ্টারও বেশি সময় এই কর্মসূচি চলে। শহরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা পর্যায় থেকে বিপুলসংখ্যক প্রতিবাদকারী এতে অংশ নেন। কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন হিন্দু বৌদ্ধ খিস্ট্রান ঐক্য পরিষদের ডা. এনসি বাড়ই, পূজা উদ্যাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা দিলীপ কুমার দেব, জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু রায়, পৌর শাাখার পরিমল প্রসাদ রাজ প্রমুখ।
চুয়াডাঙ্গা
রবিবার দুপুর ৩টায় চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার শহীদ হাসান চত্বরে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এ বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। বিশাল এ জন স্রোতে যোগ দেন জেলা সদরসহ আশপাশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আগত সনাতনী মানুষ। এ সময় তারা হাতে বিভিন্ন অসাম্প্রদায়িক ও দাবি সংবলিত স্লেøাগান লেখা প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।
বিক্ষোভ মিছিলে সারাদেশে হিন্দুদের ওপর আক্রমণের নিন্দা জানান সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলায় বারবার কেন হিন্দুরাই রাজনীতির শিকার হবে- এমন প্রশ্নও উত্থাপন করে তারা।
নেত্রকোনা
ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও উপাসনালয়-মন্দির ভাঙচুরের প্রতিবাদে জেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের জেলা শাখার যৌথ উদ্যোগে রবিবার বিকেলে শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষুব্ধ সংখ্যালঘুরা প্রথমে শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। এরপর মিছিলকারীরা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে আবার সমাবেশে মিলিত হন। সমাবেশে জেলা পূজা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি জ্ঞানেশ চন্দ্র সরকারের সভাপতিত্বে এবং হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সুব্রত রায় মানিকের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন : হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট সিতাংশু বিকাশ আচার্য চৌধুরী, পূজা উদ্যাপন পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা নির্মল কুমার দাস, সাধারণ সম্পাদক লিটন পন্ডিত, ইসকনের অধ্যক্ষ জয়রাম প্রভু ব্রহ্মচারী প্রমুখ।
পাবনা
রবিবার বেলা ১১ টায় শহরের জয়কালি মন্দির থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষ মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ট্রাফিক মোড়ে এক সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশে উপস্থিতরা একাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আর এক বার, তুমি কে, আমি কে বাঙালি বাঙালি, আমার দেশ সবার দেশ, বাংলাদেশ বাংলাদেশ, আমার মাটি আমার মা, বাংলাদেশ ছাড়ব না, সনাতনীর ওপর আক্রমণ, মানি না মানব না স্লোগানে এলাকা প্রকম্পিত করে। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ পাবনার সভাপতি রোটারিয়ান প্রভাষ কুমার ভদ্রের সভাপতিত্বে বক্তারা বলেন সারাদেশে যেভাবে হিন্দুদের ওপর হামলা, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ, লুট, মন্দির ভাঙচুর করা হয়েছে তা দেখে তারা স্তম্ভিত। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। এ দেশের নাগরিক হিসেবে তাদেরও নিরাপদে বাঁচার অধিকার আছে। তারা সমন্বিতভাবে সন্ত্রাসী প্রতিরোধের ডাক দিয়ে আরও বলেন, এ দেশ আমাদের তাই দেশে থেকেই আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে বসবাসের সুব্যবস্থা আদায় করতে হবে। সমাবেশে হিন্দু মহাজোটের জেলার আহ্বায়ক আশিষ কুমার বসাক, সমাজকর্মী ডাক্তার ঔষী ঘোষ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ পাবনা পৌর সাধারণ সম্পাদক দিপংকর সরকার জিতু বক্তব্য রাখেন।
গাইবান্ধা
ছাত্র হামলার ঘটনায় গাইবান্ধায় বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন হয়েছে। এসময় এসব ঘটনার তদন্ত এবং জড়িতদের কঠোর বিচারের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়। রবিবার দুপুরে আট দফা দাবিতে গাইবান্ধা নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংস্থার (গানাসাস) সামনে মানববন্ধন করেছে সনাতনী ছাত্র-জনতা আন্দোলন। এতে দাবি-দাওয়া সম্বলিত ব্যানার-ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বী হিন্দু সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থী-অভিভাবকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ যোগ দেন। মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন মানিক বর্মণ, সৌমিক বক্সী, পূজা মহন্ত, শুভ্র দেব, সুব্রত দাশ প্রমুখ। এসময় সারাদেশে বিভিন্ন জায়গায় সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার, মন্দির ভাঙচুর, বাড়িঘরে হামলা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাটসহ সকল প্রকারের নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত সকল দুষ্কৃতকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি, সংখ্যালঘুদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ এবং সামগ্রিকভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান বক্তারা।
পটুয়াখালী
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সুরক্ষার দাবিতে পটুয়াখালীতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালিত হয়েছে। রবিবার দুপুরে সনাতনী নাগরিক ও ছাত্র-জনতার আয়োজনে পৌর শহরের ঝাউতলা এলাকায় এ কর্মসূচি পালিত হয়। এতে সর্বস্তরের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা অংশগ্রহণ করেন। শেষে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে জেলা প্রশাসক নূর কুতুবুল আলমের কাছে ৮ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
ঝিনাইদহ
সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয়, সুরক্ষা কমিটি গঠন, সংসদীয় আসন বরাদ্দসহ ৫ দফা দাবি আদায় ও নিরাপত্তার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। রবিবার সকালে কালীগঞ্জ উপজেলা শহরের মধুগঞ্জ বাজারে কালীগঞ্জ সনাতনী সম্প্রদায়ের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এতে ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বসবাসরত সনাতনী সম্প্রদায়ের মানুষ অংশ নেয়। ঘণ্টাব্যাপী চলা এই কর্মসূচিতে কালীগঞ্জ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি তিথি রানী ভদ্র, পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত খাঁ, কালীগঞ্জ সার্বজনীন কালিবাড়ি মন্দিরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নিশীথ বরণ সাহা, সাধারণ সম্পাদক অমিলন্দন বিশ্বাস সাধনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।
এদিকে জেলা জামায়াতের আমির অধ্যপক আলী আযম, সেক্রেটারি আব্দুল আওয়াল, সাংগঠনিক সেক্রেটারি আব্দুল আলীম, শহর আমির হারুন আর রশিদ, সিনিয়র অ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ, অ্যাডভোকেট ইসমাইল হোসেন, শিবির সভাপতি রাজু আহম্মেদসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।
কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ
রবিবার উপজেলার ভাঙ্গারহাটে সম্মিলিত সংগ্রামী সনাতনী সমাজের ব্যানারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ভাঙ্গারহাটের চৌরাস্তা থেকে তালিমপুর তেলিহাটি উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে সনাতন ধর্মের হাজার হাজার নারী পুরুষ বিভিন্ন ধরনের ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন। শেষে উপস্থিত নারী পুরুষ মিছিলসহকারে তালিমপুর তেলিহাটি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সমাবেশে মিলিত হয়।
পীরগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও
রবিবার দুপুরে পীরগঞ্জ থানা পুলিশের কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পুলিশের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন। ওই সময় ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ সুপার, পীরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ, পুলিশ কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপস্থিত ছিলেন। সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পুলিশের সঙ্গে মতবিনিময় করে কার্যক্রম স্বাভাবিক করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন।