ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

ঈদ জামাতের জন্য ২টি স্পেশাল ট্রেন

প্রকাশিত: ২২:০৩, ১০ এপ্রিল ২০২৪

ঈদ জামাতের জন্য ২টি স্পেশাল ট্রেন

ট্রেন।

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে প্রতি বছরের মতো এবারও ঈদুল ফিতরের দেশের সবচেয়ে বড় জামাত আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এবারও শোলাকিয়ার মুসল্লিদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। মাঠে যাতায়াতে মুসল্লিদের জন্য বিশেষ দুটি ট্রেন দেওয়া হয়েছে। 

একটি ট্রেন ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে নামাজ শেষে আবার ময়মনসিংহে ফিরে যাবে। অন্যটি ভৈরব থেকে কিশোরগঞ্জ এসে ইঞ্জিন ঘুরিয়ে আবার ভৈরবে ফিরে যাবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও কিশোরগঞ্জ রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার মিজানুর রহমান।

‘শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল’ ময়মনসিংহ জংশন থেকে ভোর পৌনে ৬টায় ছেড়ে সকাল সাড়ে ৮টায় কিশোরগঞ্জ স্টেশনে পৌঁছাবে। শোলাকিয়া মাঠে ঈদের জামাত শেষে ওই ট্রেনটি কিশোরগঞ্জ স্টেশন থেকে দুপুর ১২টায় ছেড়ে দুপুর ৩টায় ময়মনসিংহে পৌঁছাবে। 
ট্রেনটি চলাচলের পথে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ রুটের শম্ভুগঞ্জ, বিসকা, গৌরিপুর, বোকাইনগর, ঈশ্বরগঞ্জ, সোহাগী, আঠারবাড়ি, নান্দাইল রোড, মুসুল্লি, নীলগঞ্জ স্টেশনে দুই মিনিট করে থেমে মুসল্লিদের উঠা-নামার ব্যবস্থা করবে।

অপরদিকে ঈদ স্পেশাল ট্রেন ভৈরব জংশন থেকে ভোর ৬টায় কিশোরগঞ্জ অভিমুখে ছেড়ে সকাল ৮টায় পৌঁছাবে। নামাজ শেষে আবার দুপুর ১২টায় কিশোরগঞ্জ ছেড়ে দুপুর ২টায় ভৈরব পৌঁছাবে। পথে কালিকাপ্রসাদ, ছয়সূতি, কুলিয়ারচর, বাজিতপুর, সরারচর, হালিম মকসুদপুর, মানিকখালি, গচিহাটা ও যশোদল স্টেশনে থেমে মুসল্লিদের উঠা-নামার ব্যবস্থা করবে।

এবারও পূর্বের চেয়ে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে শোলাকিয়ায়। মোতায়েন থাকবে পাঁচ প্লাটুন বিজিবি।

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে সকাল ১০টায় শুরু হবে ১৯৭তম ঈদুল ফিতরের জামাত। জামাতে ইমামতি করবেন বাংলাদেশ ইসলাহুল মুসলেমিন পরিষদের চেয়ারম্যান ড. মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ।

আগত লাখ লাখ মুসল্লির নিরাপত্তার স্বার্থে এখানে টুপি ও জায়নামাজ ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে প্রশাসন। 

 

এসআর

×