ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৫ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

নেশাগ্রস্ত শিক্ষকের হাতে চিকিৎসক লাঞ্চিত

নিজস্ব সংবাদদাতা, শাল্লা (সুনামগঞ্জ)

প্রকাশিত: ১৭:৪৬, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

নেশাগ্রস্ত শিক্ষকের হাতে চিকিৎসক লাঞ্চিত

সুনামগঞ্জ জেলা। 

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিপুল কান্তি দাস নামে নেশাগ্রস্ত এক শিক্ষক মেডিকেল অফিসারকে লাঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে। তিনি উপজেলার গোবিন্দ চন্দ্র সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজী শিক্ষক। 
সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. নাসির উদ্দিনের বাসায় এই ঘটনা ঘটেছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, দুপুর আড়াইটায় শিক্ষক বিপুল কান্তি দাস উনার শিশু বাচ্চাকে নিয়ে চিকিৎসক নাসির উদ্দিনের কাছে চিকিৎসার জন্য আসেন। পরে চিকিৎসক রোগের বিষয়টি বুঝানোর চেষ্টা করলে শিক্ষক উত্তেজিত হয়ে পড়েন। ডাক্তার নাসির উদ্দিন পরামর্শ দিলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার জন্য। এতে তিনি আরো ক্ষিপ্ত হয়ে নাসির উদ্দিনের উপর হামলা করার চেষ্টা করেন। এসময় হাসপাতালের অন্যান্য চিকিৎসকরা এসে নাসির উদ্দিনকে উদ্ধার করেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। 

এ বিষয়ে চিকিৎসক নাসির উদ্দিন বলেন, ‘শিক্ষক বিপুল কান্তি দাস নেশাগ্রস্ত হয়ে উনার বাচ্চার চিকিৎসার জন্য আমার বাসায় আসে। বাচ্চাটির রোগের বিষয় বুঝাতে গিয়েই এই শিক্ষক আমাকে লাঞ্চিত করে আমার উপর হামলা চালায়। পরে আমার সহকর্মীরা এসে আমাকে উদ্ধার করেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। আর এই শিক্ষকের ড্রোপ টেস্ট করানোর জন্য স্যাম্পল নেওয়া হয়েছে।’

অভিযুক্ত শিক্ষক বিপুল কান্তি দাসের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দেয়া হলে রিসিভ করেননি। ফলে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন বলেন, ‘চিকিৎসককে লাঞ্চিত করা শিক্ষক বিপুল কান্তি দাসের ড্রোপ টেস্টের জন্য স্যাম্পল নেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট আসলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তবে মনে হয় এই শিক্ষক সুস্থ মস্তিষ্কে এই কাজটি করেনি।

এম হাসান

×