ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১

গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও ৪ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত: ১২:১৫, ১৮ মার্চ ২০২৪; আপডেট: ১২:১৬, ১৮ মার্চ ২০২৪

গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও ৪ জনের মৃত্যু

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

রবিবার (১৭ মার্চ) রাত ১২টার দিকে জহিরুল ইসলাম ও রাত আড়াইটার দিকে মোতালেবের মৃত্যু হয়। সোমবার (১৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে সোলাইমান ও রাব্বির পৌনে সাতটার দিকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন : ২৫ বছরেও হয়নি সেতুর সংযোগ সড়ক

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. তরিকুল ইসলাম জানান, গতরাতে জহিরুল ইসলামের মৃত্যু হয়। তার শরীরে ৬৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল। মোতালেব রাত ২.৩০ মিনিটে মারা যান। তার শরীরের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল, শিশু সোলায়মান আজ সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে মারা যান। তার শরীরে ৮০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। রাব্বী সকাল পৌনে সাতটার দিকে মারা যায়। তার শরীরে ৯০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এই নিয়ে দশজনের মৃত্যু হলো।

তিনি জানান, এই ঘটনায় শুক্রবার থেকে সোলাইমান মোল্লা, মনসুর আলী শিশু তায়েবা, আরিফুল ইসলাম, মহিদুল, নার্গিস খাতুন, জহিরুল ইসলাম, মোতালেব, মো. সোলায়মান ও রাব্বি নামে এ পর্যন্ত শিশুসহ ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আরও যারা ভর্তি রয়েছে তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান তিনি।

১৩ মার্চ সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে কালিয়াকৈরের তেলিরচালা এলাকায় একটি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। এতে দগ্ধ হন অন্তত ৩৫ জন।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, তেলিরচালা এলাকার শফিক খান তার বাসার জন্য একটি গ্যাস সিলিন্ডার কিনে আনেন। পরে সিলিন্ডারটি চুলার সঙ্গে লাগানোর সময় গ্যাস বের হতে থাকে। এক পর্যায়ে তিনি এটি রাস্তায় ফেলে দেন।

এ সময় সেখানে একটি মাটির চুলার আগুন থেকে সিলিন্ডারে আগুন লেগে বিস্ফোরণ ঘটে। পরে রাস্তায় থাকা প্রায় ৩০-৩৫ জন দগ্ধ হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়।

তাসমিম

×