ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১১ মে ২০২৫, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২

নিতাইগঞ্জে দগ্ধ হওয়া র‌্যাব সদস্যের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু

প্রকাশিত: ১০:৫০, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩; আপডেট: ১১:০৪, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিতাইগঞ্জে দগ্ধ হওয়া র‌্যাব সদস্যের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট। ফাইল ফটো

নারায়ণগঞ্জের সদর নিতাইগঞ্জে একটি বাসায় দগ্ধ হওয়া র‌্যাব সদস্য অভিজিৎ কুমার সিংয়ের (২৮) পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন দগ্ধ টুম্পা রানী দাস (২৮)।

সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তার মৃত্যু হয়।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে মৃত্যু হয় অভিজিতের।

আরও পড়ুন :নিউইয়র্ক পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

চিকিৎসকের বরাত দিয়ে টুম্পার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া। তিনি জানান, টুম্পার শরীরের ৭০ শতাংশ দগ্ধ ছিলো। আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ভোর আনুমানিক ৪টার দিকে এই আগুনের ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে স্থানীয় হাসপাতাল শেষে ওইদিন সকালে তাদেরকে বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

দগ্ধ টুম্পা রানী দাসের ছেলে বিশাল চন্দ্র দাস ও দূরসম্পর্কের দেবর জনি দাসসহ স্বজনরা জানান, পরিবারটি নিতাইগঞ্জের একটি বাড়ির ৩য় তলার ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকে। টুম্পার স্বামী হরি কমল দুবাই প্রবাসী। ২ ছেলের জনক টুম্পা। রাতে ফ্ল্যাটের একরুমে টুম্পার দুই ছেলে ও দেবর জনি দাস ঘুমিয়ে ছিলেন। 

ভোরে হঠাৎ চিৎকার শুনে ঘুম ভেঙে গেলে তারা দেখেন, টুম্পা রানীর রুমে আগুন জ্বলছে। টুম্পা ও অভিজিতের শরীরেও আগুন। তখন তারা বাথরুম থেকে পানি এনে তাদের দুজনের শরীরে ঢালেন। এরপর ঘরের জিনিসপত্রে লাগা আগুনও নেভান।

দগ্ধদেরকে সঙ্গে সঙ্গে নারায়ণগঞ্জের জেনারেল হাসপাতালে (ভিক্টোরিয়া) নিয়ে যান। সেখান থেকে তাদেরকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়।

তারা আরো জানান, র‌্যাব সদস্য অভিজিতের পরিবার ও টুম্পার পরিবার আগে পাশপাশি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন। তখন থেকে তাদের সাথে একটি পারিবারিক সম্পর্ক। বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে অভিজিৎ তাদের বাসায় গিয়েছিলেন। 

মাঝে মাঝে ওই বাসার ছাদে গিয়ে আড্ডা দিতেন তিনি। এছাড়া মাঝেমধ্যে ওই বাসায় গিয়ে টুম্পা রানীর ছেলে বিশালকে পড়াশুনা বুঝিয়ে দিতেন। তবে ওই রাতে কীভাবে আগুন লেগেছে, সেবিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি তারা।

জানা যায়, অভিজিৎ র‌্যাব-১১ এর সদস্য। তার বাড়ি জয়পুরহাট সদর উপজেলার জয় কৃষ্ণপুর গ্রামে। তবে এ বিষয়ে র‌্যাবের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এসআর

×