ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

নির্মিত সেতুর সংযোগ সড়কে ধস

নিজস্ব সংবাদদাতা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ

প্রকাশিত: ২১:০০, ৫ জুলাই ২০২৩

নির্মিত সেতুর সংযোগ সড়কে ধস

গোহালবাড়ী ইউনিয়নের মুন্সিগঞ্জ হাট এলাকায় নির্মাণ করা সেতু 

জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কে নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ার আগেই ভেঙে গেছে সোয়া কোটি টাকার সেতু। এতে জনমনে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ভোলাহাট থেকে বড়গাছী জিসি (মহানন্দা নদীর তীর) পর্যন্ত সড়কের গোহালবাড়ী ইউনিয়নের মুন্সিগঞ্জ হাটের পাশে ৮ মিটার সেতু নির্মাণে উপজেলা এলজিইডির বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের এক কোটি ১৪ লাখ ৭৫ হাজার ৪০২ টাকা বরাদ্দ হয়। ২০২১ সালের ৩ অক্টোবর নির্মাণ শুরু হয়ে চলতি বছরের ২ এপ্রিল কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আরপিএমসি এখনো কাজ শেষ করতে পারেননি। সেতুটি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার পূর্বেই ঈদুল আজহার পরদিন রাতে পূর্বপাশের কার্পেটিং ভেঙে পড়ে। এতে স্থানীয় লোকজন নির্মাণ কাজে অনিয়মের প্রশ্ন তুলেছেন। তারা অভিযোগ করে বলেন, সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও ঠিকাদারের যোগসাজশে নি¤œœমানের কাজ করায় সামান্য বৃষ্টির পানিতে সেতু ভেঙে গেছে। ভবিষ্যতে বেশি বৃষ্টি হলে পুরো সেতু ভেঙে পড়ার আশঙ্কা করছেন তারা। 
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই সেতুটি প্রায় সাত-আট বছর ধরে ভেঙে পড়ে ছিল। দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকার পর সরকার এত টাকা ব্যয় করে জনগণের জন্য সেতুটি করে দিচ্ছে। কিন্তু দুর্নীতির কারণে কাজ শেষ না হওয়ার আগেই ভেঙে গেল। স্থানীয় বাসিন্দা নাসির উদ্দিন জানান, ইঞ্জিনিয়ার ও ঠিকাদার ঠিকমতো কাজ করেননি। ফলে ভেঙে গেছে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য সবুর আলী জানান, সঠিকভাবে মাটি ভরাট না করায় মাটি বসে গেছে।  
উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আছহাবুর রহমান বলেন, ব্রিজের কাজ এখনো চলমান। ভেঙে যাওয়া অংশে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।

ঢলে ত্রিপুরা পল্লীর সেতু ভেঙে গেছে
নিজস্ব সংবাদদাতা হবিগঞ্জ থেকে জানান, টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের ত্রিপুরা পল্লীর সেতুটি ভেঙে গেছে। একইসঙ্গে ত্রিপুরা পল্লীর টিলায় ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বুধবার দুপুরে এ তথ্য জানান ত্রিপুরা পল্লীর হেডম্যান চিত্তরঞ্জন দেববর্মা। 
চিত্তরঞ্জন দেববর্মা জানান, বৃষ্টির কারণে মাটি নরম হয়ে যাওয়ায় টিলাটিতে ভূমিধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফলে সেখান বসবাসরত ২৪টির মধ্যে ৫টি পরিবারকে অনেক আগেই অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সরেজমিন দেখা গেছে, যাতায়াতের একমাত্র ব্রিজটি পাহাড়ি ঢলের কারণে ভেঙে গেছে। এ অবস্থায় পল্লীবাসী দুর্ভোগে পড়েছেন। শুধু তাই নয়, ছড়ার পাশে থাকা টিলার অনেকাংশ ধসে পড়েছে। এরমধ্যেই ঝুঁকি নিয়ে ১৯টি পরিবার এখনো সেখানে বসবাস করছে। সাতছড়ি বন্যপ্রাণী রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল আমিন বলেন, ভ্রমণপিপাসুদের কাছে এ উদ্যানটি বেশ প্রিয়। এখানে যাতায়াত সহজ। রয়েছে বন্যপ্রাণীর বিচরণ। বৃষ্টিতে এ পাহাড়ের ত্রিপুরা পল্লীসহ বিভিন্ন টিলা ধসে পড়ছে। ব্রিজ ভেঙে  গেছে। দ্রুত মেরামত প্রয়োজন।

×